ডিজিটাল মেশিনে আধুনিক পণ্য উৎপাদনের পাশাপাশি তাঁতের খট খট শব্দে মুখর গ্রামের পর গ্রাম। ছয় মাস ধরে উৎপাদন করা পণ্যের মজুদ রয়েছে। সেইসঙ্গে শীতবস্ত্র তৈরি চলছে ছোট-বড় কারখানায়। শীত সামনে রেখে এসব পণ্য বাজারজাত করার যেন ধুম পড়েছে কারখানাসহ এখানকার সর্বত্র। শীতবস্ত্র বিক্রির জন্য প্রস্তুত এখানকার ৪ শতাধিক বিপণি বিতান। গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নয়ারহাট ও কয়েকটি গ্রামের ব্যবসায়ীদের আশা এবারের মৌসুমে বিক্রি হবে অন্তত ৫০০ কোটি টাকার শীতবস্ত্র। দেশে শীতবস্ত্রের চাহিদার একতৃতীয়াংশ গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নয়ারহাটে উৎপাদন হয়, দাবি এখানকার ব্যবসায়ীদের। রপ্তানির সুযোগ পেলে সম্ভাবনাময় হোসিয়ারি শিল্পে নতুন মাত্রা যোগ করা সম্ভব, মনে করেন তারা। গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থেকে মহিমাগঞ্জ সড়ক ধরে যেতে মাঝামাঝি অবস্থান কোচাশহরের। সেখান থেকে ডানে মোড় নিয়ে যেতে হয় নয়ারহাটে। রং-বেরঙের সুতোর মিশেলে রকমারি শীতবস্ত্র দিয়ে সাজানো এখানকার ৪ শতাধিক বিপণি বিতান। প্রত্যন্ত এ গ্রামে একবারে মধ্যেখানে গড়ে ওঠা নয়ারহাট নামের শীতবস্ত্রের এ বাজারের শো-রুমগুলোয় পাওয়া যাচ্ছে সোয়েটার, কার্ডিগান, মোজা, মাফলার, টুপিসহ ১৫০ ধরনেরও বেশি শীতবস্ত্র। আকার ও ডিজাইন ভেদে দাম নির্ধারণ করেন ব্যবসায়ীরা। এখানে প্রধানত পাইকারী বেচাকেনা চলে। সারা দেশ থেকে আসা দোকানিরা এখানকার প্রধান ক্রেতা। পোশাক তৈরি হয় গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার পেপুলিয়া-কানাইপাড়া, মুকুন্দপুর, শক্তিপুর, ধারাইকান্দী, জগদীশপুর, কুমিড়াডাঙ্গা, গোপালপুর, শ্রীপতিপুর, পুনতাইড়, উলিপুর, দামগাছা, শালমারা, কলাকাটাসহ বিভিন্ন গ্রামে। পরে তা নয়ারহাট থেকে পাইকারদের হাত ঘুরে ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। উদ্যোক্তারা জানান, ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর মাড়োয়ারিদের কাছে পাওয়া হস্তচালিত দুটি যন্ত্র দিয়ে শুরু হয় কোচাশহরের হোসিয়ারি শিল্পের যাত্রা। কোচাশহর ইউনিয়নের পেপুলিয়া গ্রামে আবদুর রহিম নামের এক ব্যক্তির বোনা মোজার মাধ্যমে হোসিয়ারি শিল্পের সূচনা। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের গ্রামে। কোচাশহরসহ এখানকার আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে হোসিয়ারি শিল্প। নারী-পুরুষ মিলে এ শিল্পের সঙ্গে এখন জড়িয়ে আছে লক্ষাধিক মানুষের জীবন-জীবিকা। এখানকার উদ্যোক্তারা আরও জানান, বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার শাওইল থেকে নিয়ে আসা ঝুটের সুতা এখানকার অন্যতম প্রধান কাঁচামাল। মানসম্মত শীতবস্ত্রের জন্য কম্পিউটারাইজড মেশিনে পাশের দেশ ভারতসহ বিভিন্ন দেশের দামি সুতাও ব্যবহার হচ্ছে এখন। তবে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ঘন ঘন বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে দুর্ভোগ বেড়েছে। নয়ারহাটের ব্যবসায়ী মাহফুজুর রহমান বলেন, রাস্তা এতটাই সরু যে, বড় ট্রাক চলাচল করতে হয় ঝুঁকি নিয়ে। নয়ারহাট হোসিয়ারি শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমান সরকার বলেন, প্রতিদিন এ বাজারে কোটি কোটি টাকা বেচাকেনা হলেও ব্যাংকের শাখা না থাকায় টাকা জমা ও তোলার জন্য ৭-৮ কিলোমিটার দূরে গোবিন্দগঞ্জে বা মহিমাগঞ্জে যেতে হয় এখানকার ব্যবসায়ীদের। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ প্রধান বলেন, ইতোমধ্যে এখানকার কিছু সমস্যা সমাধান হয়েছে।
শিরোনাম
- বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
- টেস্টে নতুন উচ্চতায় তাইজুল
- ঢাকা উত্তরে প্রথম কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের যাত্রা শুরু
- সার উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের নতুন দাম ঘোষণা আজ
- শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু
- হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ
- ভিকারুননিসায় রবিবারের সব পরীক্ষা স্থগিত
- ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
- টিভিতে আজকের কোন খেলা কোথায় দেখবেন
- ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা
- আজ ঢাকার বাতাসের মান কেমন?
- পেরুর সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
- ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ
- ২৩ নভেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি
- এই সময়ে গ্যাস কূপে ড্রিলিং কাজ বন্ধ রাখা শ্রেয়, ফেসবুকে আবহাওয়াবিদ পলাশ
- রাজধানী ঢাকায় আজ কোথায় কোন কর্মসূচি
- ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোর নিরাপত্তাঝুঁকি খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি
- তারেক রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বুড়িচংয়ে দোয়া মাহফিল
- ধর্মের দোহাই দিয়ে টিকেট বিক্রি করে কাজ হবে না: তানিয়া রব
- জবিতেও ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে রবিবার
৫০০ কোটি টাকার শীতবস্ত্র বিক্রির আশা
গোবিন্দগঞ্জের নয়ারহাট হোসিয়ারি পল্লী
সাইফুল মিলন, গাইবান্ধা
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর
ভারতের ‘চিকেন নেকে’ সর্বোচ্চ সতর্কতা: শিলিগুড়িতে উচ্চপর্যায়ের গোয়েন্দা বৈঠক
১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম
চাপের মুখে রাশিয়ার তেল আমদানি বন্ধ করল ভারতের বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী রিলায়েন্স
২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম