মানিকগঞ্জ জেলা শহর ও আশপাশে গড়ে উঠছে একের পর এক বহুতল আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন। বেশির ভাগ ভবন পৌরসভার নিয়ম না মেনে তৈরির অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন শহরে আসেন নানা কাজে। অফিস-আদালত, মার্কেট, আবাসিক ভবন, ক্লিনিক কোথাও গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা নেই। বাধ্য হয়ে মানুষ প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেল, রিকশা, ভ্যান, বাইসাইকেলসহ সব ধরনের যান রাস্তার ওপর যেখানে-সেখানে দাঁড় করিয়ে রেখে প্রয়োজনীয় কাজকর্ম সারেন। ফলে রাস্তায় চলাচল অসাধ্য হয়ে পড়ে। এমনকি হেঁটে চলাচল করাও কঠিন হয়ে যায়। মাঝে মধ্যে প্রশাসন অভিযান চালালেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। সরেজমিন দেখা যায়, মানিকগঞ্জ শহরের প্রবেশমুখ শহীদ স্বরণী সড়কে সদর হাসপাতালের আশপাশে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন ক্লিনিক। কিন্তু কোনো ভবনে পার্কিং ব্যবস্থা নেই। কেউ কেউ পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রেখে পৌরসভা থেকে ভবনের অনুমোদন নিলেও পরে ওই জায়গায় বানানো হয়েছে দোকান। ফুটপাত দখলে রেখেছেন নানা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। ফুটপাত দিয়ে হাঁটার অবস্থা নেই বললেই চলে। একজন হোটেল ব্যবসায়ী জানান, আমরা সবাইকে ম্যানেজ করে ব্যবসা করি। সড়কের বেশির ভাগ অংশ দখল করে রাখেন ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীরা। দুপুরের পর থেকে ফুটপাত দখল করে এক শ্রেণির লোক শাকসবজি, কলাসহ বিভিন্ন মালামল বিক্রি করেন। অন্যদিকে ভ্যানগাড়িতে বেচাকেনা হচ্ছে ফল ও শাকসবজি। বিভিন্নভাবে সুবিধা নিয়ে এসব দোকান বসানো হয় বলে জানান কয়েকজন। পৌর সুপার মার্কেটের এক ব্যবসায়ী বলেন, রাস্তার ওপর এমনভাবে বাজার বসে- আমাদের দোকানে লোকজন আসার রাস্তা থাকে না। আমরা লাখ লাখ টাকা অগ্রিম দিয়ে দোকান নিয়ে ব্যবসা করতে পারছি না। আর সামান্য টাকা দিয়ে ভ্যানগাড়ি ও ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করছেন অনেকে। বাসস্ট্যান্ড পৌর সুপার মার্কেট বণিক সমিতির সভাপতি পরিতোষ ধর বলেন, শত শত দোকান নিয়ে পৌর সুপার মার্কেট হলেও নেই পার্কিং ব্যবস্থা। বাধ্য হয়ে ক্রেতা-বিক্রেতারা তাদের মোটরসাইকেল-বাইসাইকেল রাখেন রাস্তায়। এ ভোগান্তি লাঘবে দ্রুত গাড়ি পার্কিং ব্যবস্থা জরুরি বলে তিনি জানান। শহরের শহীদ রফিক সড়কেরও একই চিত্র। দেখে বোঝার উপায় নেই এগুলো জেলা শহরের প্রধান সড়ক নাকি যানবাহনের গ্যারেজ। শহর বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামরুদ্দিন রেজা বলেন, অপরিকল্পিত নগরায়ণ ও গাড়ি পার্কিং ব্যবস্থা না রেখে মার্কেট ও আবাসিকভবন তৈরির কারণে জানযট সৃষ্টি হচ্ছে। পৌরবিধি মোতাবেক পার্কিং ব্যবস্থা রেখে বাড়িঘর, মার্কেট হলে এমন অবস্থা হতো না। পৌর মেয়র রমজান আলী বলেন, খুব শিগগিরই এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কয়েক দিনের মধ্যে মালিকদের নোটিস করা হবে। তারা গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা না করলে নেওয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা। যারা পৌর কোড মানবেন না তাদের স্থপনা ভেঙে ফেলা হবে।
শিরোনাম
- বিক্রি হয়ে গেল দ্য টেলিগ্রাফ
- নারায়ণগঞ্জে বিএনপি প্রার্থীর উদ্যোগে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত
- মিরসরাইয়ে বিজিবির অভিযানে ভারতীয় ৩১ গরু আটক
- শততম টেস্টে মুশফিকের বিরল রেকর্ড
- ভূমিকম্পে মেট্রোরেল স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি: ডিএমটিসিএল এমডি
- বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে ২ সমঝোতা স্মারক সই
- পুলিশের ৩ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বদলি
- আইন হয়ে গেলে গণভোটের প্রস্তুতি শুরু করবে কমিশন: সিইসি
- প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক
- সিরাজগঞ্জে ডিবি হেফাজতে সন্দেহভাজন আসামির মৃত্যু
- ভূমিকম্পে হতাহত পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে সরকার
- গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত
- ক্যান্সার আক্রান্তদের পাশে রোটারী
- গণভোটের প্রস্তুতি নিতে ইসিকে সরকারের চিঠি
- দেশের উন্নয়নে অঙ্গীকারবদ্ধ হতে হবে: অর্থ উপদেষ্টা
- কুমিল্লায় অভিযান চলাকালে পুলিশের ওপর হামলা
- স্টার্কের ডেলিভারিতে দগ্ধ ইংল্যান্ড, হেডের ব্যাটে লেখা জয়গাথা
- বাজি ধরে না চিবিয়ে পুরো বার্গার গেলার চেষ্টা, যুবকের করুণ মৃত্যু
- অ্যাশেজে মাত্র দুই দিনেই ইংল্যান্ডকে গুঁড়িয়ে দিল অস্ট্রেলিয়া
- ‘আমার বিজয় এমনভাবে হবে, ধারে কাছেও কেউ আসতে পারবে না’