বঙ্গোপসাগর উত্তাল। আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় বেশির ভাগ জেলে মাছ শিকারে যেতে পারেনি। তাদের ট্রলার পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মৎস্যবন্দর মহিপুর, আলিপুর আড়ত ঘাটে নোঙর করা রয়েছে।
মহীপুর মৎস্য বন্দর ট্রলার মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি হাজি মো. ফজলু গাজী জানান, মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা শেষ হলেও সাগর উত্তাল থাকায় বেশির ভাগ জেলে ট্রলার নিয়ে মাছ শিকারে যেতে পারছে না। এখন তারা অপেক্ষা করছেন অনুকূল আবহাওয়ার।
এদিকে ৬৫ দিন নিষেধাজ্ঞার পর হাতেগোনা দু-চারটি ট্রলার গভীর সাগরে মাছ শিকারে গিয়েছিলেন। তবে বেশির ভাগই ফিরছেন খালি হাতে বা স্বল্প সংখ্যক ইলিশ নিয়ে। এ কারণে মার্কেটগুলোতে ইলিশের দাম অনেক চড়া। ব্যবসায়ীরা জানান, ১ কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৮০০ থেকে ২ হাজার টাকা কেজি দরে, ৮০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা কেজি দরে, ৫ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা কেজি দরে। আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। সেই সঙ্গে বায়ুচাপ তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। এর প্রভাবে কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর বেশ উত্তল রয়েছে। এ ছাড়া উপকূলীয় এলাকায় থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি কিংবা মাঝারি বৃষ্টি হচ্ছে। একই সঙ্গে বিভিন্ন নদ-নদীর পানি স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। স্থানীয় জেলেরা জানান, বৃহস্পতিবার গভীর সমুদ্রে আকস্মিক ঝড়ে পাঁচটি ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ইমন নামে এক জেলে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
আলীপুরের ট্রলার মালিক ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. জলিল মিয়া জানান, মঙ্গল-বুধবার সকালে কিছু ট্রলার মাছ ধরার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। গভীর সমুদ্রে জাল ফেলার সময় আকস্মিক ঝড় এবং উত্তাল ঢেউয়ের তোরে পাঁচটি ট্রলার ডুবে যায় বলে উদ্ধার হওয়া জেলেরা তাকে জানিয়েছেন।