একটি সেতুর অভাবে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার ১০ গ্রামের হাজার হাজার মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। কেশবা ময়দানের পাড় গ্রামের ঘাটের পাড়ে ধাইজান নদীর ওপর বাঁশ দিয়ে তৈরি নড়বড়ে সাঁকোই একমাত্র ভরসা এ পথে চলাচলকারীদের। সবচেয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হয় স্কুলগামী শিশু-কিশোর, বৃদ্ধ, মুমূর্ষু রোগী এবং গর্ভবতী নারীদের। তখন তাদের কিশোরগঞ্জ সদরে যেতে ঘুরতে হয় ৫ কিলোমিটার পথ। সদর ইউনিয়নের গদাকেশবা ময়দান পাড়ার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ধাইজান নদীটি। নদীর পূর্ব তীরে বৃহত্তর গদা, চেংমারী, রাজিবসহ আরও বেশ কয়েকটি গ্রাম। পশ্চিম তীরে রয়েছে কেশবা ময়দান পাড়া, ডাঙ্গা পাড়া, হিন্দু পাড়া, তেলি পাড়া, কেশবা গুচ্ছ গ্রাম। সরেজমিনে দেখা যায়, এ নদীর ওপরে বাঁশ দিয়ে তৈরি বাঁশের সাঁকো। ওই এলাকার হাজার হাজার মানুষের ভরসা এই বাঁশের সাঁকো। যা ব্যবহার করে উপজেলা শহরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়মিত আসা যাওয়া করেন শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ। স্থানীয়রা জানান, দুই তীরের বাসিন্দাদের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো বন্যার পানির প্রবল স্রোতে সাঁকো ভেঙে যায়। তখন পুরো যোগাযোগ ব্যবস্থা বিছিন্ন হয়ে যায়। এতে বিশেষ করে সাঁকোর পশ্চিম পাড়ের স্কুলগামী শিশু-কিশোর, বৃদ্ধ, মুমূর্ষু রোগী এবং গর্ভবতী নারীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ চরম বিড়ম্বনায় পড়েন। তাদের তখন কিশোরগঞ্জ সদরে যেতে ঘুরতে হয় ৫ কিলোমিটার পথ। অথচ সাঁকোর পূর্ব দিক ২০০ গজ সামনে পেরুলে পাকা সড়ক। সেখান থেকে সদরের দূরত্ব মাত্র অর্ধ কিলোমিটার। ওই গ্রামের ইয়ামিন কবির বলেন, সাঁকোটি প্রতি বছর গ্রামবাসী চাঁদা দিয়ে তৈরি করে আসছেন। প্রতি বছর বর্ষার সময় নদীর স্রোতে সাঁকোটি ভেঙে যায়। শুষ্ক মৌসুমে প্রতি বছর মেরামত করতে হয়। ওই এলাকার হাসিমুদ্দিন বলেন, অনেক ঝুঁকি নিয়ে সাঁকোটির ওপর দিয়ে আসা-যাওয়া করতে হয়। বিশেষ করে বর্ষাকালে নদীতে পানির প্রবাহ বেশি থাকায় সে সময় ভয়ে যাতায়াত করতে হয়। প্রয়োজনের তাগিদে আমরা বাধ্য হই। যে কোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। অনেকে নদীতে পড়ে আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। গদা ময়দানের পাড় গ্রামের আবুবক্কর সিদ্দিক বলেন, আমাদের এলাকার অধিকাংশ কৃষকের জমি ও বৃহত্তর ঈদগাহ মাঠ কেশবা গ্রামের মাঠে। একমাত্র সহজ ও নিকটতম পথ ময়দানের ঘাটে ব্রিজ না থাকায় দীর্ঘ দিন ধরে জমি চাষাবাদ, কৃষিপণ্য পরিবহনে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ওই গ্রামের দেলোয়ার হোসেন বলেন, সাঁকোটি মারণফাঁদে পরিণত হয়েছে। আমিও ভুক্তভোগী। পাশাপাশি ১০ গ্রামের মানুষের জীবনমানের পরিবর্তন ঘটবে। কেশবা গ্রামের মোশারফ হোসেন বলেন, অনেক ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীরা সাঁকোর ওপর দিয়ে আসা-যাওয়া করে। মাঝেমধ্যে দুর্ঘটনারও শিকার হন অনেকে। উপজেলা প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসান বলেন, উপজেলায় ইউনিয়ন গ্রাম সড়ক অনূর্ধ্ব ১০০ মিটার ব্রিজ প্রকল্পে ডিপিপি ভুক্তকরণে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।
শিরোনাম
- কুয়ালালামপুরে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বিরল বৈঠক
- লঙ্কানদের ১৫৫ রানের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিল টাইগাররা
- ট্রাম্পের লবিস্টদের লাখ লাখ ডলার দিচ্ছে দরিদ্র দেশগুলো
- রাজসাক্ষী আসলে কী?
- নিরাপত্তা খাতে যুক্তরাষ্ট্রকে আরও সহযোগিতার আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
- জনস্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে সম্প্রচার-ব্যবস্থা যুগোপযোগী করা হবে : তথ্য উপদেষ্টা
- ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলি বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
- কারাগারে একক সেলে নেওয়া হলো সাবেক আইজিপি মামুনকে
- উন্নত ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে তরুণ প্রজন্মকে দক্ষ হিসেবে গড়ে তোলা আবশ্যক : প্রধান উপদেষ্টা
- নারী কর্মকর্তাদের ‘স্যার’ সম্বোধনের নির্দেশনা বাতিল
- আইসিসিতে শেখ হাসিনার বিচার চাইল অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল
- বিমান বাহিনীর সেফটি প্রোগ্রাম ম্যানেজমেন্ট কোর্সের সনদপত্র বিতরণ
- শাজাহান খানের মেয়ের সম্পদের হিসাব চেয়ে বাসার দরজায় দুদকের নোটিশ
- জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হামলার অভিযোগ: নোবিপ্রবি কর্মকর্তাকে পুলিশে সোপর্দ
- তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনে দলগুলোর ঐকমত্য আছে : আলী রীয়াজ
- প্রধান বিচারপতি নিয়োগ সংক্রান্ত দুটি বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে : আলী রীয়াজ
- গণহত্যার দায়ে ইসরায়েলকে অভিযুক্ত করল স্পেন
- ভিসা নিয়ে যে বার্তা দিল ঢাকার মার্কিন দূতাবাস
- উল্লাপাড়ার এলংজানি দাখিল মাদ্রাসায় পরপর দুই বছর শতভাগ ফেল
- রাজনীতিতে যারা একেবারে এতিম, তারাই পিআর পদ্ধতি চায় : রিজভী
নড়বড়ে সাঁকোই ভরসা
আবদুল বারী, নীলফামারী
প্রিন্ট ভার্সন

টপিক
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর