উজানের ঢল ও টানা বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যার পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে কুড়িগ্রামের নদ-নদী অববাহিকার বাদাম, পটোলসহ বিভিন্ন ফসলের খেত। এতে চরম ক্ষতির শিকার চরাঞ্চলের কৃষকরা।
সরেজমিন দেখা গেছে, বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে খেতের ফসল। পানিতে নেমে অপরিপক্ব ফসল তুলছেন কৃষকরা। কোথাও পানি নেমে যাওয়ায় স্পষ্ট হচ্ছে ক্ষত চিহ্ন। কেউ কেউ ক্ষতিগ্রস্ত খেত পরিষ্কার করছেন। এক সপ্তাহের আগের বন্যার এমন চিত্র জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত নদ-নদীর অববাহিকার। কয়েক দিনের বৃষ্টি ও উজানের ঢলে প্লাবিত হয় তিস্তা, দুধকুমার, বৃহ্মপুত্র ও ধরলার অববাহিকা। পানিতে তলিয়ে যায় বাদাম, পটোল, পাট, তিল, কাউন, মরিচ, আউশসহ বিভিন্ন ফসলের খেত। কয়েক দিন পানিতে তলিয়ে থাকায় নষ্ট হয়ে গেছে খেতের বেশির ভাগ ফসল। এসব এলাকার কৃষকরা বলছেন, এবার অসময়ের বন্যায় ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা। জেলা কৃষি বিভাগ জানায়, চলতি মৌসুমে জেলার ১৬টি নদ-নদীর অববাহিকার চরাঞ্চলে আবাদ করা প্রায় ৩০০ হেক্টর জমির সবজিসহ বিভিন্ন ফসল বন্যার পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে।
সদরের শুলকুর বাজার এলাকার কৃষক মোকছেদ আলী বলেন, অতিবৃষ্টি আর নদীর পানি বাড়ার কারণে পটোল খেতে পানি ওঠে। এক বিঘা জমির সব পটোল গাছ মরে গেছে। খেতে পানি আসায় বড় ক্ষতি হয়েছে আমাদের।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহকারী উপপরিচালক ড. মো. মামুনুর রহমান জানান, বন্যায় নদ-নদী তীরবর্তী এলাকায় ফসলের ক্ষতি নিাপণ করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।