বিক্রি কমে যাওয়ায় দিনাজপুরের মধ্যপাড়া পাথরখনির ইয়ার্ডগুলোতে মজুত বেড়েই চলেছে। ইয়ার্ডে রাখার জায়গা না থাকলে পাথর উৎপাদন বন্ধ হয়ে যেতে পারে। বর্তমানে এ পাথরখনির ১৪ ইয়ার্ডে মজুত রয়েছে ১২ লাখ ২০ হাজার টন পাথর। দামে সাশ্রয়ী এবং টেকসই মধ্যপাড়া খনির পাথরের ব্যাপক চাহিদা রেলওয়ে ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিভিন্ন প্রকল্পে। এ দুটি প্রতিষ্ঠান চাহিদা অনুযায়ী এ পাথর ব্যবহার করলে ঘুরে দাঁড়াতে পারে মধ্যপাড়া পাথরখনিটি, বলছেন সংশ্লিষ্টরা। খনি সূত্র জানান, রেলপথে ব্যবহৃত হয় বোল্ডার ও নদীশাসনের জন্য ব্লাস্ট পাথর; যা দিনাজপুরের মধ্যপাড়া খনিতে উৎপাদিত পাথরের ৫১ শতাংশ। এখন এ দুই সাইজের পাথরের বিক্রি নেই। বাকি ৪৯ শতাংশের মধ্যে রয়েছে সাতটি সাইজ, যা বছরে উৎপাদন হয় প্রায় ১৫ লাখ টন। সম্প্রতি রেলের পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের পর ব্লাস্ট পাথর সরবরাহ শুরু হয়েছে। নদীশাসন কাজে খনির বোল্ডার প্রচলিত ব্লকের তুলনায় অনেক বেশি টেকসই, উন্নতমানের ও আর্থিক সাশ্রয়ী। তা সত্ত্বেও পানি উন্নয়ন বোর্ড মধ্যপাড়া বোল্ডার ব্যবহার করে না। বিগত সরকারের সময় থেকে রেলওয়ে বিভাগ ও পানি উন্নয়ন বোর্ড আমদানি করা পাথরের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। তিন বছর ধরে রেলপথে মধ্যপাড়ার ব্লাস্ট ও নদীশাসনে বোল্ডার পাথরের ব্যবহার কমে যায়। বর্তমানে খনিতে ১২ লাখ ২০ হাজার টন পাথর মজুত রয়েছে, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৪০০ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে ২৫০ কোটি টাকার ৯ লাখ ৫০ হাজার টন পাথর বিক্রি হয়েছে। খনি সূত্র আরও জানান, পাথর উত্তোলন কাজে বিস্ফোরক কিনতেই খরচ হয় ৩৭ শতাংশ টাকা, যা আগে শূন্যের কোঠায় ছিল। আগের ঋণ মওকুফ ও মধ্যপাড়া রেলপথের ১৪ কিলোমিটার সংস্কার হলে পাথর পরিবহনে খরচ কমবে। খনিটি ২০০৭ সালে বাণিজ্যিকভাবে পাথর উৎপাদনে যায়। মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী ডি এম জোবায়েদ হোসেন জানান, রেলপথ ও পানি উন্নয়ন বোর্ড পাথর নিলে মজুত হতো না। বর্তমানে দেশের মেগা প্রজেক্ট বন্ধ থাকায় এ পাথর ব্যবহার হচ্ছে না। সম্প্রতি পশ্চিমাঞ্চল রেলে পাথর ব্যবহার বিষয়ে মধ্যপাড়ার চুক্তি হয়েছে। রেলের পূর্বাঞ্চলেও চুক্তির বিষয়টি চলমান। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়েও আলোচনা চলছে। রেলপথ ও পানি উন্নয়ন বোর্ড পাথর ব্যবহার না করায় খনির ১৪ ইয়ার্ডে প্রায় ৪০০ কোটি টাকার পাথর পড়ে আছে। উৎপাদনের সঙ্গে বিক্রি না বাড়লে দেড় মাসের মধ্যে ইয়ার্ডে পাথর রাখার জায়গা থাকবে না। তখন উৎপাদন ব্যাহত কিংবা বন্ধ হয়েও যেতে পারে।
শিরোনাম
- দেশজুড়ে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ১৭৮৭
- সজল হত্যা মামলায় আইভীর জামিন নামঞ্জুর
- দেশজুড়ে অভিযানে গ্রেপ্তার ১৭৮৭
- বান্দরবানে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
- রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ১১৬৭ মামলা
- ভারী বৃষ্টি ও ভূমিধস নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সতর্কবার্তা
- গোপালগঞ্জে ৭ দিনব্যাপী বৃক্ষ মেলা শুরু
- যুবদল কর্মী আরিফ হত্যা : ৭ দিনের রিমান্ডে সুব্রত বাইন
- বগুড়ায় শ্বশুর ও পুত্রবধূর লাশ উদ্ধার, মৃত্যু নিয়ে রহস্য
- ঝরে পড়া শিক্ষার্থী ও বাল্যবিয়ে রোধে জলঢাকায় শুভসংঘের সচেতনতামূলক সভা
- গণহত্যার দায়ে শুধু হাসিনা নয়, আওয়ামী লীগেরও বিচার হওয়া উচিত: ফখরুল
- শেখ হাসিনার উপযুক্ত বিচার অবশ্যই হবে বাংলাদেশে : আইন উপদেষ্টা
- ‘পুরো ৫০ ওভার ব্যাট করতে না পারাই চিন্তার বিষয়’
- ৩১ দফা মানে গণতন্ত্র, আগামীর বাংলাদেশ: আফরোজা আব্বাস
- সন্তানকে হত্যার হুমকি দিয়ে ভাবিকে ‘ধর্ষণ’, দেবর কারাগারে
- টেক্সাসে ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০৯, নিখোঁজ ১৬১
- মুরাদনগরে ট্রিপল মার্ডার: ৮ আসামির ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
- স্বতন্ত্র কাউন্সিলের দাবিতে আজও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ফটক আটকে বিক্ষোভ
- কুলাউড়ায় বিপুল পরিমাণ অবৈধ জাল ধ্বংস, জরিমানা
- যারা ভোটে জিততে পারবে না তারাই পিআর পদ্ধতি চায় : সালাম
কমেছে বিক্রি মজুত বেড়েছে পাথরের
উৎপাদনের সঙ্গে বিক্রি না হলে দেড় মাসের মধ্যেই উৎপাদন ব্যাহতের শঙ্কা
রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর