সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আনুষ্ঠানিক কোনো নিয়োগ ছাড়াই বেনাপোল কাস্টমস হাউসের বিভিন্ন দপ্তরে অফিস সহায়ক হিসেবে কাজ করতেন তারা। মৌখিকভাবে কাজের সুযোগ পাওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই হয়ে ওঠেন বেপরোয়া। সিএন্ডএফ এজেন্ট ব্যবসায়ীসহ যে কেউ কোনো কর্মকর্তার কাছে কাজের জন্য গেলেই এসব অফিস সহায়কের শরণাপন্ন হতে হয়। এ সুযোগে তারা গ্রাহকের কাছ থেকে হাতিয়ে নিতেন বিভিন্ন অঙ্কের টাকা। তাদের কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েন ব্যবসায়ীরা। বিভিন্ন সময় অপসারণের দাবিও জানান। অবশেষে এমন ১৪০ জন অফিস সহায়ককে গত সপ্তাহে বন্দর থেকে অপসারণ করা হয়েছে। এতে স্বস্তি ফিরেছে সিএন্ডএফ এজেন্ট ব্যবসায়ীদের মধ্যে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের এক কর্মকর্তা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এখানে জনবল সংকট ছিল। এক সময়ে খুলনা ও যশোর কাস্টমস থেকে লোক ধার করে বেনাপোলের কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। তখন বিভিন্ন কর্মকর্তা অফিসের কাজের সুবিধার্থে কিছু নিকটাত্মীয় কিংবা পরিচিত লোক মৌখিকভাবে নিয়োগ দেন।
সিএন্ডএফ এজেন্ট ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, কমিশনার দপ্তর থেকে শুরু করে শুল্কায়ন ও পরীক্ষণ গ্রুপ পর্যন্ত প্রতিটি শাখায় দুই বা ততধিক এমন অফিস সয়াহক অবস্থান করতেন। তাদের কারণে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য মারাত্মকভাবে ব্যাহত হতো। মূলত কিছু কর্মকর্তা তাদের দিয়ে অনৈতিক কাজ করাতেন। ফলে এসব অফিস সহায়কের অনেকে অল্প দিনে কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন।
বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মফিজুর রহমান স্বজন জানান, দীর্ঘ দিন ধরে আমাদের পক্ষ থেকে নিয়োগহীন অফিস সহায়কদের অপসারণের দাবি জানিয়ে এলেও তৎকালীন কর্মকর্তারা আমলে নেননি। এজেন্টদের ভয়ভীতি দেখিয়ে অর্থ আদায়সহ নানা অপকর্মে এরা জড়িত।