নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের শেরপুর জেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও শেরপুরের ১৬ বছরের পিপি, অভ্যুত্থানবিরোধী স্থানীয় মাস্টার মাইন্ড অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল ২৮ সেপ্টেম্বর গোপনীয়তায় জামিন ও জেল থেকে মুক্তি পেয়ে বের হয়ে যান। এর আগে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যাসহ ছয়টি মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন লাভ করেন সাবেক ওই পিপি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঝড় ওঠে। অর্থের বিনিময়ে চন্দনকে জামিন এবং সীমান্ত পার করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বিএনপি নেতা ও বিএনপির বেশ কিছু আইনজীবীর বিরুদ্ধে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ সমালোচনা চলছে তাদের নিয়ে। এদিকে চন্দন পাল বিদেশ চলে গেছেন না দেশের কোথাও আছেন এ নিয়েও চলছে নানা আলোচনা। তবে পরিবার, পুলিশ বা কোনো গণমাধ্যম এ বিষয়ে নীরব। প্রশ্ন দাঁড়িয়েছে চন্দন পাল এখন কোথায় আছেন। কেউ কেউ বলছে চন্দন পাল সীমান্ত দিয়ে ভারত চলে গেছেন। তবে নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন ৩০ সেপ্টেম্বর ভোর ৬টায় শেরপুর-টাঙ্গাইল-ঢাকাগামী একটি যাত্রীবাহী বাসে চন্দন পাল সস্ত্রীক ঢাকায় চলে গেছেন। ওই বাসের যাত্রী তিনি ছিলেন। তিনি ঢাকার শ্যামলি নেমে পড়েন, তখনও ওই দুজন বাসেই ছিলেন।
জানা গেছে, এর মধ্যেই দুই দিন আগে শেরপুর জেলা পুলিশ থেকে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে অবগত করা হয়েছে যাতে চন্দন পাল বিদেশ যেতে না পারেন।
শেরপুরের পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম জানান, চন্দন পাল কোথায় আছেন পুলিশ অবগত নয়। তবে তিনি যাতে সীমান্ত পার হতে না পারেন সে জন্য সরকারের যথাযথ স্থানে অবগত করা হয়েছে।