‘বঙ্গবন্ধুর প্রিয় সৈয়দ শেরপুরে ধুঁকে ধঁকে বেঁচে আছেন’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন গত শুক্রবার পাঠক নন্দিত বাংলাদেশ প্রতিদিনের শেষ পাতায় প্রকাশিত হয়। সেখানে উঠে আসে সৈয়দের জীবনের দুঃখাবেগজনক কাহিনী। প্রতিবেদনে নাড়া দেয় অসংখ্য বঙ্গবন্ধু প্রেমীদের। আলোড়ন সৃষ্টি হয় ময়মনসিংহ বিভাগসহ গোটা দেশে।
প্রতিবেদনটি দৃষ্টিগোচর হয় ধর্মমন্ত্রী পুত্র ও জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্ত’র। কাঁধে তুলে নেন তার আমৃত্যু চিকিৎসার ব্যয়ভার। সেই সাথে ঘোষণা দেন আর্থিক অনুদানেরও।
শান্ত শুক্রবার রাতেই একটি মাইক্রোবাস করে শেরপুর থেকে নিয়ে আসেন বঙ্গবন্ধুর প্রিয় সেই সৈয়দ এমদাদুল হককে। এনেই ভর্তি করেন নগরীর কোয়ালিটি জেনারেল হাসপাতালে। বর্তমানে ‘আওয়ামী লীগ ভাই’ হিসেবে পরিচিত বঙ্গবন্ধুর এ 'প্রিয়' সেখানেই ভর্তি আছেন। সঙ্গে আছেন তাঁর ছেলে সৈয়দ মহিদুল হক ও স্ত্রী লুৎফুন্নেছা। শনিবার সারদিনই বঙ্গবন্ধুর সৈয়দকে দেখতে ভীড় জমান স্থানীয় আওয়ামী লীগসহ এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীরা।
সৈয়দ এমদাদুল হক বর্তমানে ওই হাসপাতালের পরিচালক ডা. জাকির হোসেনের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন। ডা. জাকির জানান, আজ (শনিবার) দুপুরে তাকে প্রান্ত স্পেশালাইজড হাসপাতাল থেকে বিভিন্ন পরীক্ষা করানো হয়েছে। ডা. সি এম সরকার চন্দন রিপোর্টগুলো দেখে চিকিৎসা করাবেন। বর্তমানে তিনি শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে ভুগছেন বলেও জানান তিনি।
জানতে চাইলে মোহিত উর রহমান শান্ত বলেন, ‘আমি বঙ্গবন্ধুর একজন আদর্শ কর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। কারণ যে বঙ্গবন্ধুকে ভালবাসে আমিও তাঁকে ভালবাসি। তিনি বলেন, মহান এ ব্যক্তিটির আমৃত্যু চিকিৎসা ব্যায়ভার আমার। এছাড়াও বঙ্গবন্ধু প্রেমী এ সৈয়দের যে কোন বিপদের পাশে আছি আমি।’
জীবনের এ লগ্নে এসে এমন ভালবাসা কেমন লাগছে? এমন প্রশ্নের জবাবে ৯২ বছর বয়সেও দরাজ কণ্ঠের অধিকারী মুজিবের প্রিয় সৈয়দ বলেন, ‘আমার জীবন এখন স্বার্থক। মৃত্যুর পরও আমার স্বার্থকতা আসবে। কারণ বংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে আমার মৃত্যুর খবর পৌঁছবে। সে স্থানটুকু আজ আমি খুঁজে পেয়েছি বাংলাদেশ প্রতিদিনের কল্যাণে। তবে আমার শেষ ইচ্ছা হাসিনাকে মাথায় হাত রেখে আর্শিবাদ করা।’
বঙ্গবন্ধুর কথা বলতেই চোখ থেকে গড়িয়ে পড়ে সৈয়দের অশ্রু। বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যখন মারা যান তখন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা দেশে ছিলেন না। তাঁরা তাঁদের বাবার শেষ আর্শিবাদ পায়নি। আমার জীবনের শেষ আর্শিবাদ এখন হাসিনাকে করতে চাই।’
বিডি-প্রতিদিন/০৫ মার্চ, ২০১৬/মাহবুব