ফরিদপুরের সালথা উপজেলার গট্রি ইউনিয়নে রেশমা বেগম (২৭) নামের এক গৃৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
মঙ্গলবার সকালে স্থানীয়রা লাশটি ধানক্ষেতে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে সালথা থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
নিহত রেশমা গট্রি ইউনিয়নের কানইর গ্রামের জালাল শেখের স্ত্রী। তার পিতার নাম সোবহান মোল্যা। এ ঘটনায় পুলিশ নিহত রেশমা বেগমের ভাসুরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।
স্থানীয় ও থানা সূত্রে জানা গেছে, দুই বছর আগে রেশমা বেগমের সাথে প্রতিবেশী মাছিম শেখের ছেলে জালাল শেখের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর জালাল চাকুরির সুবাদে ঢাকায় চলে যায়। মাঝে মধ্যে জালাল বাড়িতে আসতো। জালাল শেখের ঢাকায় থাকার সুবাদে ভাসুরের ছেলে সাব্বিরের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন রেশমা। এ নিয়ে জালাল শেখের পরিবারে মনমালিন্য চলছিল।
নিহতের দাদি ফজরুন নেছা জানান, রেশমার সাথে তার ভাসুরের ছেলে সাব্বিরের সাথে বিরোধ ছিল। তবে কি নিয়ে বিরোধ তা তিনি জানাতে পারেননি।
সোমবার রাতের যে কোন সময় রেশমা বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। মঙ্গলবার সকালে বাড়ির পার্শ্ববর্তী ধানক্ষেতে রেশমার ক্ষত-বিক্ষত লাশটি স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়।
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ডি এম বেলায়েত হোসেন জানান, ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। লাশের গলা এবং হাত-পায়ের রগ কাটা ছিল। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাব্বির নামের একজনকে আটক করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/০৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/মাহবুব