১০ টাকা কেজি দরে চাল বিতরণের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে আগামীকাল বুধবার কুড়িগ্রামের চিলমারী যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চিলমারীর মধ্য দিয়ে সরকারের ‘খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি’র উদ্বোধন হওয়ায় নদীবিধৌত এ উপজেলার মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে উৎসাহ আর উদ্দীপনা। এ উপলক্ষে চিলমারীকে সাজানো হয়েছে রঙিন সাজে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চিলমারী থানাহাট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আট হাজার ২১ পরিবারকে চাল বিতরণের মাধ্যমে কর্মসূচির সূচনা করবেন। এ কর্মসূচির স্লোগান নির্ধারণ করা হয়েছে-‘শেখ হাসিনার বাংলাদেশ; ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ।’
কুড়িগ্রাম ও গোপালগঞ্জ জেলায় হতদরিদ্রদের জন্য খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ফেয়ার প্রাইজ উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দেশের ৫০ লাখ হতদরিদ্র পরিবারকে এ কর্মসূচির আওতায় আনা হবে।
জানা যায়, সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ইউনিয়ন পর্যায়ে রেশনিং আদেশ ও নীতিমালা অনুযায়ী বছরে দুই পর্যায়ে প্রতিটি পরিবারকে ১০ টাকা দরে ৩০ কেজি চাল দেয়া হবে। প্রথম পর্যায়ে মার্চ ও এপ্রিল মাসে এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে প্রতিটি পরিবারকে কার্ডের মাধ্যমে এ চাল বিতরণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। কুড়িগ্রামে ৯ উপজেলায় ১ লাখ ২৫ হাজার ২৭৯ জন পরিবারকে এ কার্ড দেয়া হবে। এতে জেলার সোয়া ছয় লাখ দরিদ্র মানুষ এ কর্মসূচির আওতায় উপকৃত হবে।
চিলমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শওকত আলী সরকার বীর বিক্রম বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করার জন্য চিলমারীবাসী উদগ্রিব হয়ে আছেন।
কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদ প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাফর আলী বলেন, দরিদ্রতম এ জেলা থেকে ক্ষুধাকে চিরতরে বিদায় জানাতে প্রধানমন্ত্রীর এই খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। জেলা প্রশাসক খান মো. নুরুল আমিন বলেন, সকল প্রস্ততি সম্পন্ন হওয়ার পথে। সফর সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ইতোমধ্যে নিরাপত্তার চাদরে মুড়িয়ে ফেলা হয়েছে চিলমারীকে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সফল করার জন্য প্রস্তত প্রশাসন ও চিলমারীবাসী।
বিডি-প্রতিদিন/ ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/ ফারজানা