বগুড়ার সোনাতলার বয়ড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দূর্নীতি, স্বেচ্ছাচারীতা সহ নানা অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু একটি প্রভাবশালী মহলের কারনে তার বিরুদ্ধে কোন আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছে না শিক্ষা অফিস।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সোনাতলা উপজেলার বয়ড়া উচ্চ বিধ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারাজুল ইসলাম গত কয়েক বছর ধরে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালনকালে নানা অনিয়ম ও দূর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন। তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের মধ্যে রয়েছে, স্কুলের আয় ব্যায় ব্যাংকে জমা না করে খরচ করা, ম্যানেজিং কমিটির কোন সভা না করে সভাপতির অনুমতি ছাড়াই খরচ করা, আর্থিক অনিয়ম করে নিম্মমানের গাইড বই সিলেবাসভুক্ত করা, ঠিকাদার নিয়োগ না করে শরীরচর্চা শিক্ষক দিয়ে নিম্মমানের ইটে স্কুলের প্রাচীর নির্মাণ করা, মূল্যবান মেহগণি গাছ নিয়মবহির্ভূতভাবে কেটে ফেলা, কারিগরী শাখায় তৃতীয় শ্রেনীর কর্মচারীকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেখানো।
স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জাকিরুল ইসলাম লিচু ২০১৬ সালের ২৪ সেপ্টেম্বরে প্রধান শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। একই সাথে ৭ দিনের মধ্যে ম্যানেজিং নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়। এ বিষয়টি বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা), জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, সোনাতলা ইউএনও, উপজেলা মাধ্যমকি শিক্ষা অফিসার কেও অবহিত করা হয়।
কিন্তু তিনি নোটিশের তোয়াক্কা না করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এ ছাড়া প্রধান শিক্ষক ফারাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে অর্থ আত্বসাত সংক্রান্ত একটি মামলা রয়েছে। এ প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষক ফারাজুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি। এ ছাড়া সরাসরি তার সাথে কথা বলতে গেলে সাংবাদিক আগমনের সংবাদ পেইয়ে তিনি তার কক্ষ ছেড়ে আত্মগোপন করেন।
স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জাকিরুল ইসলাম লিচু বলেন, "প্রধান শিক্ষক স্কুলের টাকা ইচ্ছেমত খরচ করছেন। ম্যানেজিং কমিটিকে পাশ কাটিয়ে তিনি সবকিছু করছেন।"
তিনি আরও বলেন, "পত্রিকায় তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আশরাফুল ইসলাম ও জান্নাতুল ফেরদৌসিকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়ার চেষ্টা চলছে। এ ছাড়া প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে একটি দূর্নীতি মামলার আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।"
বগুড়ার সোনাতলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আহসান হাবিবের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি পরে কথা বলবেন বলে মোবাইল ফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৫ জানুয়ারি, ২০১৭/ আব্দুল্লাহ সিফাত-১৮