অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছেন, বাগেরহাট অনেক বেশি পর্যটন সম্ভাবনময় এলাকা। রয়েছে খানজাহান (রহ.) এর মাজার, ঐতিহাসিক ষাটগম্বুজ মসজিদ, সুন্দরবন। এখানে পর্যটন জোনের জন্য সব কিছু করা হবে। মংলা বন্দর আমাদের অর্থনীতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বিগত সরকারের আমলে অচল হয়ে পড়া মংলা বন্দর বর্তমান সরকারই উন্নয়ন ও আধুনিকায়ন করেছে। মংলায় ইপিজেড রয়েছে। তাছাড়া মংলাতে অর্থনৈতিক জোন হচ্ছে। বাগেরহাট এখন একটি বিগ আরবান এরিয়া হয়ে গেছে।
রবিবর দিনভর বাগেরহাট সফরকালে বিকালে সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের কৃষি নির্ভর জাতীয় অর্থনীতিতে বাগেরহাট একটা বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। আর রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মান হলে গেলে এই এলাকাটি একটা ‘পাওয়ার হাব’ হয়ে যাবে। বর্তমান সরকারের আমলে বাগেরহাটে এখন বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। এখানে রয়েছে খানজাহান (রহ.) এর মাজার। খানজাহান (রহ.) একদিকে যেন ছিলেন একজন জেনারেল (শাসক), অন্যদিকে ছিলেন আধ্যাত্মিক ব্যক্তি। 'দ্যাস্ট এ বেটার অফ প্রাইট ফর বাগেরহাট'। খানজাহানের নির্মিত ঐতিহাসিক ষাটগম্বুজ তো ওয়ান ওফ দ্যা ফাইনেস্ট মস্ক (মসজিদ) ইন দ্যা ওয়ার্ড। এতবড় গম্বুজওয়ালা সুন্দর মসজিদ আর কোথায় পাওয়া যাবে।
অর্থমন্ত্রী বাগেরহাট সরকারি পিসি কলেজ, সাবেক জমিদার নাগেরবাড়ি ও জেলা প্রশাসকের বাসভবন (তদানীন্তন বাগেরহাট মহকুমার এসডিও থাকাকালিন তার বাসভবন) পরিদশর্ন করেন। এছাড়া বাগেরহাট শহরের আমলাপাড়ায় তার বোনের প্রায়াত স্বামী ড. হুমায়ুন কবিরের কবর জিয়ারত করেন।
অর্থমন্ত্রী এদিন সার্কিট হাউজে এসে পৌঁছালে বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সভাপতি আহাদ উদ্দিন হায়দারের নেতেত্বে নবনির্বাচিত সাংবাদিক নেতারা তাকে ফুলের শুভেচ্ছা জানান।
এর আগে সকালে অর্থমন্ত্রী মংলা বন্দর ও রামপাল কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন, বাগেরহাট সদর আসনের এমপি মীর শওকাত আলী বাদশা, জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাস, পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায়সহ সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ।
বিডি-প্রতিদিন/১৫ জানুয়ারি, ২০১৭/মাহবুব