নওগাঁ সড়ক ও জনপদ বিভাগের (সওজ) অফিসে শোভা বর্ধনের অজুহাতে টেন্ডার ছাড়াই প্রায় দুই লাখ টাকা মূল্যের ২৫টি গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনাটি জানাজানি হলে সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী হামিদুল হক ঘটনাটি ধামাচাপা দেবার জোর তৎপর চালাচ্ছেন।
জানা গেছে, জেলা প্রশাসক অফিসের পাশেই জেলা সড়ক ও জনপদ বিভাগের অফিস। সওজ ভবনের চত্ত্বরে ৪০ থেকে ৫০ বছরের পুরাতন ৫/৬টি আম গাছ, মেহগুনি ১৫টি গাছ, নিম গাছ, কাঁঠাল গাছসহ অন্যান্য গাছ ছিল। অফিসে জেলার ঠিকাদারসহ সাধারণ মানুষ এসে গরমের সময় সেই গাছগুলো নিচে বিশ্রাম করতেন। অফিসের সেই শোভা বর্ধনের অজুহাতে উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে এবং টেন্ডার ছাড়াই ও বনবিভাগের ছাড়পত্র ছাড়া গাছগুলো কেটে ফেলেন। ঘটনাটি জানাজানি হলে জেলার বিভিন্ন মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এরপর বিভিন্ন মহলে সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী হামিদুল হক ঘটনাটি ধামাচাপা দেবার জোর তৎপরতা চালাচ্ছেন।
গাছগুলোর কাটার সত্যতা স্বীকার করে জেলা সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী হামিদুল হক বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, টেন্ডাই বা উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই গাছগুলো কাটা হয়েছে। কারণ এ গাছগুলো টেন্ডারের প্রয়োজন আওতায় পড়ে না। কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, গাছগুলো খুব ছোট তাই টেন্ডারের প্রয়োজন হয়নি। বড় গাছের জন্য রাজশাহীতে কাগজ পাঠানো হয়েছে। আর অফিসের শোভা বর্ধণের জন্য মাত্র ৫টি গাছ কাটা হয়েছে। যার মূল্য ১০ হাজার টাকার বেশি হবে না।
জেলার সহকারি বন সংরক্ষক একেএম রুহুল আমিন বলেন, সরকারি কোন অফিসের গাছ কাটার প্রয়োজন হলে তাদের অফিসের গাছের পরিমাণ, দাম ও কারণ উল্লেখ করে আবেদন করতে হয়। তারপর স্বত্তসাপক্ষে তদন্ত করে অনুমতি দেয়া হয় সেই অফিসে। অনুমতির ছাড়া কেউ সরকারি গাছ কাটলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর জেলা সওজের অফিস থেকে গাছ কাটার কোন অনুমতি নেয়া হয়নি।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার