টাঙ্গাইলে র্যাবের অভিযানে গত এক বছরে ‘বন্ধুকযুদ্ধে’ জেএমবি ও ডাকাতসহ ১১ জন নিহত হয়েছেন। হত্যামামলার আসামীসহ বিদেশে পাচার হওয়াদের উদ্ধারসহ বিপুল পরিমাণ মাকদদ্রব্য ও অস্ত্র, বিভিন্ন ধরনের যানবাহন উদ্ধার করেছে টাঙ্গাইল র্যাব।
টাঙ্গাইল র্যাব-১২ এর সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালে ‘বন্ধুকযুদ্ধে’ ৬ ডাকাত, ২ জন জেএমবি, ২ জন সন্ত্রাসী ও একজন ছিনতাইকরী নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন থানায় ১২৭টি মামলা, ৩৭৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মোবাইল কোর্ট অভিযান চালানো হয়েছে ২৯টি। এ অভিযানে জরিমানা আদায় হয়েছে ৪৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ভিকটিম উদ্ধার করা হয়েছে ১৬ জন।
মাদকদ্রব্যের মধ্যে হিরোইন ১০০ গ্রাম, ইয়াবা ৯৫ হাজার ৭৭৩ পিস, বিয়ার ১ হাজার ৮৮ ক্যান, ফেন্সিডিল ৩৩২১ বোতল, গাঁজা ৩০ কেজি, দেশীয় মদ ৪৩ বোতল, চোলাই মদ ৪৫ হাজার ৯৪৫ লিটার এবং বেদেশি ৩২ বোতল মদ উদ্ধার করা হয়েছে।
অস্ত্রের মধ্যে বিদেশী পিস্তল ৯টি, রিভলবার ৭টি, একনালা বন্দুক ১টি, সাটার গান ২টি, পাইপগান ৩টি, ৯মি.মি. পিস্তল ১টি, দেশীয় এলজি ১টি, তাজা গুলি ৪৭ রাউন্ড, কার্তুজ ৯টি, ম্যাগজিন ১০টি, চাপাতি ১৮টি এবং রামদা ৫টি।
অন্যান্য মালামালের মধ্যে হল ট্রাক ৬টি, প্রাইভেটকার ৪টি, বেবী টেক্সী ১টি, গরু-বাছুর ২০টি, পিকআপ ১টি, সিএনজি ১টি, মোটর সাইকেল ৯টি, মিনিকেট চাউল ৩৩৮ বস্তা, স্বণের্র চুড়ি, চেইন, দুল ৮টি ল্যাপটপ ২টি, ক্যামেরা ২টি, মোবাইল ফোন ১৯৭টি। মাদক বিক্রয়কৃত নগদ ৩৮ লাখ ৯৭ হাজার ৩২৬ টাকা।
র্যাব-১২ সিপিসি-৩ এর কোম্পানি কমান্ডার বীণা রানী দাস বলেন, "আমাদের একটি মাত্র ক্যাম্প। আমাদের যে জনবল, এ তুলনায় ১ বছরের অভিযানে আমি মোটামুটি সন্তুষ্ট। তবে যদি আমাদের কাছে আরো বেশি ইনফরমেশন থাকতো তাহলে আমরা আরো ভালো করতে পারতাম।"
তিনি আরও বলেন, "যারা সন্ত্রাসী তারা অবশ্যই আইনের আওতায় আসবে, তারা অপরাধ করে পার পাবে না। তারা সবসময়ই আমাদের নজরদারিতে রয়েছে। উর্দ্ধতন কর্মকর্তা এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী কোন জঙ্গি যদি তাদের আগের জীবনে ফিরে যেতে চায় তাহলে আমরা এ ব্যাপারে তাদের সাহায্য করবো।"
বিডি-প্রতিদিন/ ৩ এপ্রিল, ২০১৭/ আব্দুল্লাহ সিফাত-৮