কক্সবাজারের টেকনাফে নাফনদীর ঘোলার চরে বিজিবি ও ইয়াবা পাচারকারীর মধ্যে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধসহ ৬ জনকে উদ্ধার করে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষনা করেন।
বিজিবি সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) ভোর রাত ১ টার দিকে শাহপরীর দ্বীপ বিওপি চৌকির হাবিলদার নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল বিজিবি টেকনাফে নাফনদীর ঘোলার চর হয়ে বাংলাদেশে ইয়াবার চালান ঢোকার গোপন সংবাদে সেখানে অবস্থান নেয়। এসময় মিয়ানমার থেকে দুইটি ছোট ইন্জিনচালিত নৌকা ঘোলার চর দিয়ে আসার সময় বিজিবির টহলদল সংকেত দিলে তারা নৌকা থেকে বিজিবিকে লক্ষ্য করে গুলি বর্ষণ করে। বিজিবি আত্মরক্ষার্থে গুলিবর্ষণ করলে ইয়াবার চালান নিয়ে আসা নৌকাটি পর পর ১০ থেকে ১২ রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে মিয়ানমারের দিকে পালিয়ে গেলেও অপর নৌকাটি আটক করা হয়। আটক নৌকা থেকে গুলিবিদ্ধসহ ৬ জনকে উদ্ধার করে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মিয়ানমার মংডু নলুয়া এলাকার কালু মিয়ার স্ত্রী জাহিদা বেগম (৫০)কে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধসহ আটককৃতরা হল মিয়ানমার মংডু মেরুল্লা এলাকার মৃত মকবুল আহাম্মদের ছেলে মোহাম্মদ কাশেম(৮০), মংডু নলুয়া এলাকার মৃত আবু জাহেরের স্ত্রী মজুমা(৪৯), একই এলাকার মো. তৈয়ুবের স্ত্রী রশিদা(২৫), শাহপরীর দ্বীপ মিস্ত্রি পাড়া এলাকার আব্দুল গফুরের ছেলে মো. শফিক মাঝি (২৫), দক্ষিণ পাড়ার আব্দুল মোনাফের ছেলে মো. শফিক (২৭)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২৮ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
ইয়াবাসহ আটক গুলিবিদ্ধদের থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করে মাদক ও বৈদেশিক নাগরিক আইনে মামলা রুজু করা হচেছ বলে জানায় বিজিবি।
অপরদিকে সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে টেকনাফ উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা তুষার আহমদ ও পুলিশের এস আই আবুল খায়ের ও দিবাকর রায় একদল পুলিশ ফোর্স নিয়ে টেকনাফ স্থাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিহত লাশের সুরুতহাল রির্পোট তৈরি করে কক্সবাজার মর্গে প্রেরণ করেন।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ