নোয়াখালীর হাতিয়ায় আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীদের হামলায় যুবলীগের এক কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত নুরুল আলম (৩০) চরকিং ইউনিয়নের শুল্লকীয়া গ্রামের ৬ নং ওয়ার্ডের নূর হোসেনের ছেলে এবং ইউনিয়ন যুবলীগের কর্মী। এ সময় গুলি করে ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে আরও আটজনকে। তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, সন্ত্রাসী হামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহম্মদের ভাই যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আশ্রাফ উদ্দিনের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন থেকে হাতিয়া সংসদ সদস্য আয়শা ফেরদৌসের স্বামী সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলীর অনুসারী ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক ওয়ালি উল্লাহর নেতৃত্বাধীন উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে চরকিং ইউনিয়নের বৈরভ বাজারে আশ্রাফ হত্যা মামলার আসামীদেকে ধরতে অভিযানে যায় গোয়েন্দা পুলিশ। এ সময় ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মনির উদ্দিন পুলিশকে সহযোগিতা করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশ চলে যাওয়ার পরপরই মামলার আসামী আবু তাহের ও মুরাদসহ একদল সন্ত্রাসী মেম্বারের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান যুবলীগ কর্মী নুরুল আলম। সন্ত্রাসীরা গুলি করে ও কুপিয়ে আহত করে নুরুল আলমের ভাই মোক্তার হোসেন, মনির হোসেন ও সেলিমসহ আটজনকে।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মজিদ জানান, উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে বড় ধরনের সংঘাত সহিংসতা এড়াতে ঘটনাস্থল ও আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এর আগে গত ৩০ মার্চ যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আশ্রাফ উদ্দিন আফাজিয়া বাজারে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহত হওয়ার ১১ দিন পর রবিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
বিডি প্রতিদিন/১৩ এপ্রিল, ২০১৭/ফারজানা