বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে বিপজ্জনক ভবনে চলছে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান। ভবনটির ছাদের একটি বড় অংশ ২০০৯ সালে ধ্বসে পড়েছে। ২০১৩ ভবনটি পরিত্যাক্ত ঘোষণা করেন কর্তৃপক্ষ। যেকোন সময় ছাদের অন্যন্য অংশসমূহ ভেঙে পড়তে পারে জেনেও ওই ছাদের নীচেই চলছে ২৬৫নং উত্তর ডেউয়াতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টির পাঠদানসহ সকল দাপ্তরিক কাজকর্ম। এখানে প্রাক প্রাথমিকও অফিসিয়াল কাজের জন্যও কোন আলাদা কক্ষ নেই। শ্রেণি কক্ষেই চলে অফিসিয়াল সকল কাজ।
আজ সোমবার জিউধরা ইউনিয়নের ওই বিদ্যালয়টির বেহাল অবস্থার খবর সংগ্রহের জন্য গেলে শিক্ষার্থীরা ছুটে আসেন সংবাদকর্মীদের কাছে। তারা বলেন, ‘স্যার আমাদের এখানে লেখাপড়ার কোন পরিবেশ নেই। নেই নিরাপত্তাও। আপনারা একটু ছবি তুলে নিয়ে যান’।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণপদ মন্ডল জানান, ২০০৯ সালে ঘূর্নিঝড় আয়লায় বিদ্যালয় ভবনের ব্যাপক ক্ষতি হয়। সিড়ি রুমের ছাদ ও ধ্বসে পড়েছে। গোটা ভবনই এখন বিপজ্জনক। এখানে শতাধীক শিক্ষার্থী রয়েছেন। শিক্ষক আছেন ৫ জন। সকলেই বিপদের আশংকা করছেন। ২০১৩ সালে ভবনটি পরিত্যাক্ত ঘোষণা করা হলেও এ পর্যন্ত নতুন ভবন অনুমোদন পায়নি। বরাদ্দ না থাকায় বিকল্প স্থাপনাও তৈরি করা সম্ভব হয়নি।
বিদ্যালয়ের সভাপতি ইউপি সদস্য আরিফুল কবির বাচ্চু জানান, ভবনের দূরাবস্থার কারণে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে গেছে। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান জানান, বিদ্যালয়টির ভবনের জন্য একাধীকবার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে। হয়তো নতুন ভবনের অনুমোদন পাওয়া যাবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার