বরিশালে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের কম্পিউটার বিভাগের চতুর্থ সেমিস্টারের ছাত্র আতিকুর রহমান সজিবকে হত্যা করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে বরিশাল মর্গে লাশের ময়না তদন্ত শেষে এমন ইঙ্গিত দিয়েছে চিকিৎসকরা। গত রবিবার রাতে কীর্তনখোলা নদীর দপদপিয়া সেতুর গার্ডারের উপর থেকে তার লাশ উদ্ধা করে পুলিশ। সজিবের পরিবারের দাববি পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে তাকে। পুলিশের সুরাতহাল রিপোর্টও তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহৃ থাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। মেধাবী ছাত্র সজিব নগরীর কাউনিয়া বাঁশেরহাট এলাকার জাহাঙ্গীর মৃধার ছেলে ছিলো।
দুপুরে সজিবের লাশের ময়না তদন্ত সম্পন্ন শেষে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসক ডা. সাগর রায় জানান, মৃতদেহের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহৃ পাওয়া গেছে। জখমের ধরন দেখে মনে হচ্ছে এটি পরিকল্পিত হত্যা।
এদিকে পুলিশের সুরাতহাল রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, মৃতদেহের দুই পায়ের পাতা ও পিঠে জখম। ডান হাত ভাঙ্গা এবং ঘাড়ও বাঁকানো। এছাড়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফুলা জখম রয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে দুপুরে তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ।
সজিবের মেজ ভাই রবিউল ইসলাম সুজন জানান, গত শনিবার সকাল ১১টায় কলেজে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয় সজিব। নির্ধারিত সময়ে বাসায় ফিরে না আসায় তার মুঠোফোনে রিং দেয়া হলে ফোনটিও বন্ধ পান তারা। পরে নিকটাত্মীয়-স্বজন-বন্ধুদের বাসায় খোঁজ নিয়ে তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় গত রবিবার সকালে কাউনিয়া থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেন তিনি।
ওইদিন সন্ধ্যায় বিভিন্ন মারফত তিনি জানতে পারেন, কীর্তনখোলা নদীর দপদপিয়া সেতুর নিচে পিলারের নিরাপত্তা গার্ডারের উপর একটি লাশ পড়ে আছে। পরে সেখানে গিয়ে তিনি তার ভাই সজিবকে সনাক্ত করেন। সুজনের দাবী সজিবকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তিনি এই ঘটনায় দায়ীদের সনাক্ত করে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানান।
কোতয়ালী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউর রহমান জানান, সজিবকে হত্যা করা হয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে সজিবের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় দায়ের হওয়া মামলার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অভিযুক্তদের সনাক্ত করে খুব শিঘ্রই গ্রেফতার করা সম্ভব হবে বলে পুলিশ পরিদর্শক আতাউর জানান।