নীলফামারীর কিশোরগঞ্জকে মাদকমুক্ত উপজেলা গড়ার প্রত্যয়ে শিক্ষার্থীসহ সকল স্তরের মানুষদের নিয়ে সমাবেশ করা হয়েছে। আজ বিকেলে কিশোরগঞ্জ ষ্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সমাবেশে উপস্থিত সকলে মাদক বিরোধী শপথ বাক্য পাঠ করেন।কিশোরগঞ্জ থানা পুলিশের সহযোগীতায় ও উপজেলা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের আয়োজনে সমাবেশে বিশেষ বক্তা ছিলেন রংপুর বিভাগীয় পুলিশের উপ-মহা পরিদর্শক খন্দকার গোলাম ফারুক।
সমাবেশে নীলফামারী-০৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বিরোধী দলীয় হুইপ শওকত চৌধুরী, নীলফামারী-০৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা, জেলা প্রশাসক খালিদ রহিম, নীলফামারী পৌরসভা মেয়র ও জেলা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের আহবায়ক দেওয়ান কামাল আহমেদ এবং কিশোরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পুলিশ সুপার জাকির হোসেন খান। মাদক বিরোধী শপথ বাক্য পাঠ করান কিশোরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সভাপতি রশিদুল ইসলাম।
সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য দেন মাদকমুক্ত উপজেলা গড়ার উদ্যোক্তা ও কিশোরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বজলুর রশিদ। অন্যান্যের মধ্যে কমিউনিটিং পুলিশিং ফোরামের সদস্য সচিব সফিকুল আলম ডাবলু ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বাবুল। মাদকের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে ৮১টি ওয়ার্ড কমিটি এবং ৯টি ইউনিয়ন নিরোধ কমিটি গঠন করা হয়। উপজেলার ৪৫টি স্পটকে চিহিৃত করে নিষিদ্ধ করা হয় মাদক ক্রয় বিক্রয় ও সেবন।
ক্রয় বিক্রয় ও সেবনে তিনশ’১৪জনকে চিহিৃত করে ইতোমধ্যে একশ’৪৫জনকে গ্রেফতার করে আদালতের নির্দেশে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। মাদক ছেড়ে দেয়ায় ৪০জনকে মাদক নিরাময় কেন্দ্রে স্থানান্তর এবং ৪৫জনকে “সরকারের একটি বাড়ি একটি খামার” প্রকল্পে অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে।
মাদক মুক্ত উপজেলা গড়ার উদ্যোক্তা কিশোরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বজলুর রশিদ বলেন, আমি থানায় যোগদানের পর থেকে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স অবস্থান নেই। সব শ্রেণী পেশার প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে সভা, সমাবেশ, আলোচনা সভা, র্যালি ও জনসচেতনতা মুলক নানান কর্মসুচী পালন করি। আজকের পর থেকে উপজেলায় কোথাও মাদক বিক্রি বা সেবন করতে দেয়া হবে না। যেখানেই যাকে পাওয়া যাবে সেখানেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রংপুর বিভাগীয় উপ-মহা পুলিশ পরিদর্শক খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, আমাদের যুব সমাজকে রক্ষা করতে হবে। মাদকের কারণে ধ্বংস হতে বসেছে তারা। মাদকের কড়াল গ্রাসে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে ধনীক শ্রেণীর সন্তানরাই। আমরা চাই সবাই সম্মিলিতভাবে মাদকের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিতে। যার ফলে উপকৃত হবে রাষ্ট্র, সমাজ ও পরিবার।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার