বনানীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ভিডিও ফুটেজ খুঁজে পেয়েছে পুলিশ। মামলার প্রধান আসামি সাফাত আহমেদের মোবাইল ফোন থেকে ওই ভিডিও চিত্র পেয়ে তা যাচাই-বাছাই চলছে বলে জানা গেছে। সাফাতের গাড়িচালক বিল্লালের মোবাইল ফোন থেকে দুই শিক্ষার্থীর ধর্ষণের চিত্র নিজের মোবাইলে নিয়েছিল সাফাত। এ ঘটনায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে মামলা দায়ের করার চিন্তাভাবনা করছেন তদন্তসংশ্লিষ্টরা।
এদিকে মামলার অন্যতম আসামি নাঈম আশরাফকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রিমান্ডের প্রথম দিনেই নাঈম এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।
মামলার তদারক কর্মকর্তা ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের উপকমিশনার (ডিসি) ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, আদালতের নির্দেশে রিমান্ডে থাকা আসামি নাঈম, বিল্লাল ও রহমত আলীকে (আজাদ) জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। নাঈম প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদেই ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেছে।
সূত্র জানায়, মামলার প্রধান দুই আসামি সাফাত ও সাদমান ইতিমধ্যে ধর্ষণের ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। বিল্লালের মোবাইল ফোনে ধারণ করা ফুটেজের কিছু তথ্য উদ্ঘাটন করা গেছে। রেইনট্রি হোটেল থেকে উদ্ধার করা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ যাচাই করেও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে সিআইডি। এসব তথ্য যাচাই-বাছাই চলছে।
এদিকে আজ আজাদের তিন দিনের রিমান্ড শেষ হচ্ছে। বিল্লালের রিমান্ড শেষ হবে রবিবার। অভিযোগ রয়েছে, আজাদ ধর্ষণের ঘটনার আগে সাফাতের নির্দেশে দুই শিক্ষার্থীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রেখেছিল। ধর্ষণের ভিডিও করেছিল বিল্লাল।
বিডি প্রতিদিন/২০ মে ২০১৭/হিমেল