সিনেমা হল শুনলেই মনে হয় ঠাণ্ডা হাওয়া, আরামের চেয়ারে বসে তিন ঘণ্টার পরিপূর্ণ বিনোদন কেন্দ্র। তবে ঠাকুরগাঁওয়ে ক্ষেত্রে বিষয়টি মোটেও এমন আরামদায়ক ছিল না। দেশের অধিকাংশ সিনেমা হলেরই চিত্র দেখলে মনে হয় কেন মানুষ এত কষ্ট করে এখনও সিনেমা দেখতে আসেন।
কিন্তু হঠাৎ ঠাকুরগাঁও বলাকা সিমেনা হলের সেই আগের জৌলুস ফিরে এসেছে।
ঠাকুরগাঁওয়ে মত দেশের অন্যান্য জেলায় পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে মুক্তি পেয়েছে "সোনাবন্ধু" সিনেমাটি।
সম্পূর্ণ মৌলিক ও দেশীয় লোকজকাহিনী নিয়ে বানানো এই সিনেমায় বারী সিদ্দিকীর গান রয়েছে। ঠাকুরগাঁও বলাকা সিনেমা হলে “সোনাবন্ধু” ছবিটি দেখার জন্য উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
রবিবার বিকেলে সোনাবন্ধু ফ্যান ক্লাব ঠাকুরগাঁওয়ের শহরের রোড সুগার মিলের প্রায় শতাধিক যুবক সিনেমাটি হলে গিয়েছেন দেখতে।
গ্রাম বাংলার গল্প ও পটভূমি নিয়ে নির্মিত, মাহবুবা শাহরীন মিতু’র কাহিনী, সংলাপ ও চিত্রনাট্যে জাহাংগীর আলম সুমন পরিচালিত, চিত্র নায়িকা পরীমণি, পপি অভিনীত চলচ্চিত্র "সোনাবন্ধু"। সেই সাথে ছোট পর্দার অভিনেতা ডিএ তায়েবের বাংলা চলচ্চিত্রে অভিষেক।
অভিনেতা ডি এ তায়েব একজন পুলিশ কর্মকর্তা। তিনি বাংলাদেশ পুলিশের সাংস্কৃতিক উজ্জ্বল নক্ষত্র তার কর্মকাণ্ডে পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে বলে ঠাকুরগাঁও পুলিশের এক উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা জানান।
ঠাকুরগাঁও জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেওয়ান লালন আহমেদ জানান, দেশীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের স্বাদ সম্বলিত এই সিনেমাটি আমাদের গ্রাম বাংলার কথা বলে, আমাদের কৃষ্টিকে তুলে ধরে গ্রামীণ পটভূমিতে লোকজ বিরহ বিচ্ছেদ প্রেম ফুটে উঠেছে এই চলচ্চিত্রে।
জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল বলেন, কিছুদিন আগে দেশের মুক্তিযুদ্ধ নির্মিত পূর্নদৈর্ঘ্য বাংলা সিনেমা 'ভুবন মাঝি' আমি নিজে হলে গিয়ে দেখেছি। অসাধারণ লেগেছে সিনেমাটি।
তিনি আরো বলেন, 'আমরা আগে লুকিয়ে হলে গিয়ে সিনেমা দেখতাম। বর্তমান প্রজন্ম সিনেমা হল বিমুখ।' বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিভিন্ন প্রেক্ষাপট নিয়ে সিনেমা তৈরির জন্য নির্মাতাদের আহ্বান জানান। সেইসঙ্গে বর্তমানে গ্রাম বাংলার আলোকে মুক্তি পাওয়া ছবি “সোনাবন্ধু” অসাধারণ ভাবে নির্মাতা তৈরি করেছেন। সিনেমা হলের ঐতিহ্য ফিরে পেতে পরিবারসহ সকলকে হলে গিয়ে সিনেমা দেখার অনুরোধ করেন।
বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন