চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় ঈদের নামাজ পড়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দু'পক্ষের সংঘর্ষে আহত জয়নাল আবেদিন (৪০) মারা গেছেন।
সোমবার বেলা দুইটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়।
উপজেলার হাপানিয়া গ্রামে ঈদের দিন সকালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহত জয়নাল আবেদিনের ফুফাতো ভাই হাসান মাহমুদ খোকন জানান, সংঘর্ষে আহতের মধ্যে জয়নাল আবেদিনের অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে ঢাকায় নেয়া হয়। সোমবার বেলা ২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল সূত্র জানায়, আহতদের মধ্যে হাপানিয়া গ্রামের হাসান মিয়া (৩২), মিলন আলী (২২), মহিবুল ইসলাম (৩৮), সেলিম রেজা (৩২), আজিজুল হক (৫০), মতিয়ার রহমান (৫০), আব্দুল গফুর (৩০), উসমান গণি (৪৫), আব্দুল কুদ্দুস (৪৫), মকলেছ মিয়া (২২), ঠান্ডু মিয়া (৩৮) ও মো. বুকল (৩৬) চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নেন।
চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার নিজাম উদ্দীন জানান, নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও নামাজ শুরু না করায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি পক্ষ প্রতিবাদ করে। এর ফলে অপর পক্ষের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মিদের মধ্যেও উত্তেজনা দেখা দেয়। এক পক্ষ নামাজে অংশ না নিয়ে মাঠ ত্যাগ করে। পরে নামায শেষে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে কমপক্ষে ২০ জন আহত হন।
সংঘর্ষের সময় বোমা হামলা ও গোলাগুলির অভিযোগ বিষয়ে এসপি বলেন, অভিযোগটি আমিও শুনেছি। তবে এখনও পর্যন্ত এর সত্যতা পাওয়া যায়নি।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. তারিক হাসান শাহিন জানান, আহতদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর। তবে জয়নাল আবেদিনের অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে ঢাকায় স্থনান্তরের পরামর্শ দেয়া হয়।
বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন