ঠাকুরগাঁও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় নাসরিন আক্তার (২০) নামের এক নববধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত নাসরিন আক্তার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চাড়োল গ্রামের নাজিম উদ্দীনের কন্যা এবং বড় পলাশবাড়ী ইউনিয়নের বোয়ালধার গ্রামের রেজাউল করিমের স্ত্রী।
সোমবার দুপুর ১২টায় নাসরিনের শ্বশুড়বাড়ি হতে দেড় কিলোমিটার দুরে হরিপুর কাটাবাড়ী হিন্দুবস্তী গ্রামের পুকুর পাড়ের আমগাছ হতে লাশ উদ্ধার করেছে বালিয়াডাঙ্গী থানা পুলিশ।
এলাকাবাসি সূত্রে জানাযায়, ৫ মাস আগে নাসরিন আক্তারকে ৭ লাখ টাকা যৌতুক নিয়ে নুর ইসলামের ছেলে রেজাউল করিম আনুষ্ঠানিক ভাবে বিয়ে করে। বিয়ের পর হতে নাসরিনের শাশুড়ীসহ পরিবারের লোকজন বিভিন্ন সময় ঝগড়া এবং মারপিট করতো। মেয়েটিকে হত্যা করার পর গভীর রাতে কে বা কারা লাশটিকে পুকুরের আমগাছে ঝুলিয়ে দিয়ে যায়। সকালে আমরা ঝুলন্ত অবস্থায় লাশটিকে দেখলে স্থানীয় গ্রাম্য পুলিশকে খবর দেই।
নববধূর পিতা নাজিম উদ্দীন জানান, রবিবার দুপুরে ঈদের দাওয়াত দেওয়ার জন্য গেলে মেয়ের সাথে দেখা করতে দেয়নি জামাই। আমি বাড়ি ফিরে আসার পর জামাই বাড়ির লোকজন রাতের বেলা মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার খবর দেয়। পরে রাত সাড়ে ১১ টার সময় মেয়ে বাড়িতে ফিরেছে কিনা সে খবর নিতে জামাইয়ের বাড়িতে গেলে আমাকে কেউ বাড়িতে প্রবেশ করতে দেয়নি এবং অপমান করে বাড়ি হতে তাড়িয়ে দেয়।
বড় পলাশবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম জানান, নাসরিনের সুরতহাল প্রতিবেদন ছাড়া কিছু বলা যাচ্ছে না।
চাড়োল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দিলিপ কুমার চ্যাটার্জী জানান, নাসরিনের শরীরে ও পায়ে রক্তের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
বালিয়াডাঙ্গী থানার পরিদর্শক মিজানুর রহমান বলেন, নাসরিনকে হত্যা করে গাছের সাথে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে পুলিশ প্রাথমিক ভাবে ধারণা করছে। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা দায়েরের কাজ চলছে। মামলা দায়ের করা হলে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অন্যদিকে রেজাউলের বাড়ির লোকজন এ ঘটনার পর থেকে বাড়িঘর ছেড়ে গাঁ ঢাকা দিয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন