ঠাকুরগাঁওয়ে আমাদের হাসপাতাল এন্ডডায়াগনষ্টিক সেন্টার নামে একটি বে-সরকারি ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে রোগীকে ভুল চিকিৎসা দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুল চিকিৎসার কারনে রোগীর অবস্থার অবনতি হলে স্বজনরা সদর হাসপাতালের সিভিল সার্জনসহ বেশ কয়েক জায়গায় অভিযোগ করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
স্বজনদের অভিযোগ, গত ৪ সেপ্টেম্বর তৃষ্ণা রায় নামে এক গর্ভবতী মাকে সিজারের জন্য জেলা শহরের পুরাতন বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থি আমাদের হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে ভর্তি করা হয়। পরে সিজার করা হলে রোগীর রক্তের প্রয়োজন হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নির্দেশে রোগীর জন্য জরুরি ৩ ব্যাগ রক্ত প্রয়োজন বলে জানালে পরিবারের লোকজন অনেক কষ্টে রক্ত জোগাড় করে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের কাছে দেন। এরই মধ্যে ২ ব্যাগ রক্ত রোগীকে দেয়া হয়।
পরবর্তিতে শুক্রবার সকালে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সেবিকা ভুল করে অন্য রোগীর রক্ত তৃষ্ণা রায়ের শরীরে দেন। চার ভাগের একভাগ রক্ত শরীরে প্রবেশের পর রোগীর অবস্থা অবনতি হলে তার স্বজনরা খোঁজ নিয়ে দেখেন অন্য রোগীর রক্ত ওই রোগীর শরীরে দেয়া হয়েছে।
এ অবস্থায় রোগীর স্বজনরা উত্তেজিত হয়ে পড়লে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ভুল শিকার করেন। পরে তৃষ্ণা রায়ের স্বামী রাম চরন রায় ও ভাই অন্তর রায়সহ স্বজনরা ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালের সিভিল সার্জনসহ বেশ কয়েক জায়গায় বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করেন।
আমাদের হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের স্বত্বাধিকারী কামরুজ্জামান বাবু জানান, আমাদের ভুল হয়েছে। অন্যের রক্ত তৃষ্ণা রায় নামে রোগীর শরীরে দেয়া হয়েছে। সে কারনে আমরা তার চিকিৎসার উন্নতির জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছি।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ খয়রুল কবির জানান, আমি বিষয়টি শুনেছি। খোঁজ খবর নিয়ে বিষয়টি প্রমাণিত হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিডি-প্রতিদিন/৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭/ওয়াসিফ