ফরিদপুরের সদরপুরে শিশু জুনায়েদ হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী ও তার পরিবার। আজ দুপুর ১২টার সময় স্থানীয় সদরপুর প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
আধা ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধনে পরিবারের স্বজন ছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশ নেয়। মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন, মুক্তিযোদ্ধা ফয়জুল খালাসী, শহিদ মেম্বার, কামাল হোসেন, কোহিনুর বেগম প্রমুখ। পরে সদরপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেল অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জুনায়েদের মা আছিয়া বেগম। তিনি অভিযোগ করে বলেন, চার বছরের শিশু পুত্রকে হত্যার পর থানায় একটি মামলা করা হয়। সে মামলায় আসামি করা হয় দিলু মাতুব্বরকে। কিন্তু মামলার মূল আসামিকে বাদ দিয়ে সম্প্রতি পুলিশ চার্জসিট দিয়েছে। তিনি এ চার্জসিট প্রত্যাখ্যান করেন এবং ছেলে জুনায়েদ হত্যার সাথে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, হত্যাকান্ডের পর আসামি দিলুকে পুলিশ গ্রেফতার করে। সেসময় পুলিশ দিলুর কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে বলে আদালতে জানালেও পরবর্তীতে সুবিধা নিয়ে চার্জসিট থেকে তার নাম বাদ দিয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়, পূর্ব শক্রুতার জের ধরে দিলু মাতুব্বর ও তার স্ত্রী মাকসুদা ও তার ছোট ভাই বেলাল মাতুব্বর শিশু পুত্র জুনায়েদকে হত্যা করে। পরবর্তীতে সদরপুর থানায় মামলা করতে গেলে থানার ওসি হারুন অর রশিদ আমাকে বলেন, তিনজনের নামে মামলা দিয়ে কোন লাভ নেই। একজনকে আসামি করেন। আমরা দিলুকে ধরে রিমান্ডে নিলে বাকিদের নাম জানা যাবে। আমার ধারনা আসামিদের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে পুলিশ মামলাটি ধামাচাপা দেবার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। আমি এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাই যাতে এ মামলাটির সঠিক তদন্ত হয় এবং আমি শিশু হত্যার বিচার পাই।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১৩ই নভেম্বর সদরপুর উপজেলার চরমানাইর ইউনিয়নের ইসমাইল মাতুব্বরের কান্দি গ্রামের শাহীন মাতুব্বরের চার বছরের শিশু পুত্র জুনায়েদ ওয়াজ মাহফিল থেকে নিখোঁজ হয়। ১৫ নভেম্বর তার লাশ বাড়ির পার্শ্ববর্তী একটি ডোবায় পাওয়া যায়। এ ঘটনায় ঐ সময় দিলু মাতুব্বরকে আসামি করে সদরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে শিশুটির মা আছিয়া বেগম। বর্তমানে আসামি দিলু মাতুব্বর জামিনে রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/১০ সেপ্টেম্বর ২০১৭/হিমেল