বগুড়ার নন্দীগ্রামের এক কলেজছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের দায়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের শাস্তি দাবি জানানো হয়। সেই সাথে তার ও পরিবারের নিরাপত্তা দাবি করা জানানো হয়। আজ বগুড়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটরা ইউনিয়নের দুর্জয়পুর গ্রামের ওমর আলীর মেয়ে কলেজছাত্রী রুমিজা খাতুন অভিযোগ করেন, বিগত ইউপি নির্বাচনে ভাটরা ইউনিয়ন আ. লীগের সভাপতি মোর্শেদুল বারী চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে আমাদের পরিবারের সহযোগিতা চায়। এরপর আমরা তাকে সহযোাগিতা করি। এ সুযোগে আমাকে কুপ্রস্তাব দিত। এতে রাজি না হলে আমাকেসহ ছোট ভাইকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। আমি ভাইয়ের কথা চিন্তা করে একদিন বাড়ির বাইরে গেলে আমাকে সে অন্যত্র নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করে ধর্ষণ করে। এভাবে আমাকে ভয় দেখিয়ে ও বিয়ের প্রলোভন দিয়ে বগুড়া, রাজশাহী, ঢাকা, চট্রগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে। এর প্রতিবাদ করলে মারধর করত। উক্ত মোর্শেদুল বারী একজন ভযংকর লোক হওয়ায় ভয়ে কেউ তার কাজের প্রতিবাদ করে না। বিভিন্ন ঘটনায় তার বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা রয়েছে। সর্বশেষ গত ১৫ জুলাই বগুড়া পর্যটন মোটেলে নিয়ে ধর্ষণ করে। তখন আমি প্রতিবাদ করলে মার করে। এসময় আমার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন আমাকে উদ্ধার করে। এরপর আমাকে বিয়ের পরামর্শ দিলে আমি রাজি হই। কিন্তু সে তালবাহানা করলে শাজাহানপুর থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা করি। কিন্তু পুলিশ আজও তাকে গ্রেফতার করেনি। এতে সে ক্ষুব্ধ হয়ে আমাকে হুমকি দেয়ার আমি নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। এ ছাড়া আমি জানতে পেরেছি, চেয়ারন্যান বারী দেশত্যাগের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ ও সহযোগিতা কামনা করছি।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার