শরীয়তপুরে পদ্মার ভাঙনে পানির তোড়ে তিনটি লঞ্চ ডুবে গেছে। এতে লঞ্চের স্টাফসহ প্রায় ২৫ জন নিখোঁজ হয়েছে বলে জানা গেছে।লঞ্চ ডুবির ঘটনায় শরীয়তপুরের ওয়াবদা ঢাকা রুটে আজ লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে।
একটি লঞ্চ উল্টে গিয়ে সুরেসর ঘাটে ভেসে উঠেছে বলে স্থানীয়রা জানায়। লঞ্চ উদ্ধারের কাজ এখনও শুরু করতে পারেনি প্রশাসন। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসেছে প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
স্থানীয়রা জানায়, রবিবার রাতে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসে এমভি মৌচাক-২ ও মহানগর নামে দুটি লঞ্চ। লঞ্চ দুটি সোমবার ভোর সারে ৪টায় ওয়াবদা ঘাটে নোঙর করে। এসময় অধিকাংশ যাত্রী নেমে যায়। এছারা নড়িয়া-২ নামে একটি লঞ্চ আগে থেকেই ঘাটে বাঁধা ছিল।
ভোর ৫টার দিকে আকস্মিকভাবে পদ্মার পাড়ের একটি বিরাট অংশ নদীতে ভেঙে পড়ে। এসময় পানির তোড়ে দুইটি লঞ্চ তলিয়ে যায়। এমভি মৌচাক লঞ্চটি উল্টে গিয়ে ভাসতে ভাসতে সুরেসরের দিকে চলে গেছে।
এসময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা লঞ্চে নড়িয়া উপজেলার লুনশিং গ্রামের মোহাম্মদ আলী নামে এক লোক তার স্ত্রী পারভীন বেগম (২৮), তার শাশুড়ি ফকরন বেগম (৫০), ৭ বছরের শিশু মাহিন ও নবজাতক শিশু লঞ্চ থেকে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। মোহাম্মদ আলীকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। বাকিরা এখনো নিখোঁজ রয়েছে।
লঞ্চগুলোর স্টাফদের পাশাপাশি আর কোন যাত্রী ছিল কি না- তা এখনো জানা যায়নি।
উদ্ধার কাজ চালানোর জন্য মাওয়া ঘাট থেকে একটি ডুবরি দল কাজ করছে। উদ্ধার কাজে অংশ নিতে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ জানায়, নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রত্যয় নামে একটি জাহাজ রওনা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭/ফারজানা