মিয়ানমারের আরাকান রাজ্য থেকে দেশটির সেনাবাহিনীর নির্যাতন ও সহিংসতার মুখে জীবন নিয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন রোহিঙ্গারা। তবে ঠিক কত রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে সে বিষয়ে নিশ্চিত নন কেউই।
এ ব্যাপারে জাতিসংঘ বলছে, মিয়ানমার থেকে তিন লাখ রোহিঙ্গা ইতিমধ্যে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে। অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইএমও) বলছে ২ লাখ ৯৪ হাজার। আর কক্সবাজারের স্থানীয় প্রশাসনের ধারণা অনুপ্রবেশের পরিমাণ দুই লাখ।
তবে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ঢল যারা স্বচক্ষে দেখছেন তারা এই সংখ্যা বিশ্বাস করতে নারাজ। স্থানীয়দের দাবি, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের পরিমাণ জাতিসংঘের দাবির প্রায় দ্বিগুণ। উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের আনজুমানপাড়া দিয়ে শনিবার (০৯ সেপ্টেম্বর) একদিনেই অন্তত ৫০ হাজার রোহিঙ্গা প্রবেশ করেছে বলে দাবি করেছে স্থানীয়রা।
সীমান্তপাড়ের বাসিন্দা কক্সবাজার বারের সিনিয়র আইনজীবী জামালউদ্দিন বলেন, পত্রিকায় ১-২ লাখ রোহিঙ্গা ঢুকেছে বলে লেখা হচ্ছে। এটা সঠিক নয়। আমাদের ধারণা পাঁচ লাখের কম হবে না। অনেক পয়সাওয়ালা রোহিঙ্গা চট্টগ্রামে, ঢাকায়, কক্সবাজার শহরে আত্মীয়ের বাড়িতে চলে গেছে। অনেকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে গেছে। তাদের হিসাব কারও কাছে নেই।
এ ব্যাপারে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খালেদ মাহমুদ বলেন, আমাদের কাছে সঠিক হিসাব নেই। রোহিঙ্গাদের চাপ সামলাতে আমাদের এত ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে যে জরিপ করার সময় কোথায়। তবে ধারণা করছি অনুপ্রবেশের সংখ্যা দুই লাখের কম হবে না।
বিডি-প্রতিদিন/১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭/ওয়াসিফ
