আজ ১১ সেপ্টেম্বর কিশোরগঞ্জের কানকাটি গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার কর্শা কড়িয়াইল ইউনিয়নের কানকাটি গ্রামে সংখ্যালঘু একই পরিবারের ছয়জনসহ মোট আটজনকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল পাকবাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার-আলবদররা।
প্রতিবছর দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে পালন করেন এলাকাবাসী। এ উপলক্ষে আজ সোমবার সকালে শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান গ্রামবাসী। পরে স্মরণসভায় বক্তারা নিহতদের পরিবারগুলোকে শহীদ পরিবারের স্বীকৃতী প্রদান এবং ঘাতকদের বিচার দাবি করেন।
কর্শা কড়িয়াইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শহীদুল ইসলাম শহীদের সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন শহীদ পরিবারের সদস্য সুধীর চন্দ্র সরকার, কৃষক লীগ নেতা মো. চাঁন মিয়া, সামিউল হক মোল্লা প্রমুখ।
সেদিন কানকাটি গ্রামের সুরেশ চন্দ্র সরকার, তার দুই ভাই জ্ঞানচন্দ্র নন্দি ও জয় চন্দ্র নন্দি, ভাতিজা মধুসূদন নন্দি, দুই নাতি হর্ষবর্ধন সরকার ও বিশ্ব বর্ধন সরকারকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় পাকবাহিনী। পরে পার্শ্ববর্তী ধূলদিয়া রেল সেতুর কাছে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। একই সাথে হত্যা করা হয় কানকাটি গ্রামের আরেক কৃষক আব্দুল জব্বারকে।
কিন্তু স্বাধীনতার ৪৬ বছর পরও এই হত্যায় জড়িত স্থানীয় রাজাকার ও আলবদরদের বিচার না হওয়ায় অনেকটাই দুঃখ নিয়ে বেঁচে আছেন শহীদ স্বজনরা।
বিডি-প্রতিদিন/১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭/ওয়াসিফ