হাইকোর্টের জাল সার্টিফাইড কপি জেলা রিটার্নিং অফিসারের কাছে সরবরাহ করে নোয়াখালী জেলা পরিষদের স্থগিত ২ নং ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে নির্বাচন আবারও স্থগিতের অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) স্থগিত নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু জাল সার্টিফাইড কপিতে দুই প্রার্থীর মধ্যে একজন একেএম ইমরুল চৌধুরীর প্রার্থীতা বাতিলের কথা উল্লেখ থাকায় রিটার্নিং অফিসার নির্বাচন স্থগিত করেন। এরপরই কারণ অনুসন্ধানে নেমে ইমরুল চৌধুরী জানতে পারেন যে ওই সার্টিফাইড কপিটি জাল। প্রতিপক্ষ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার জন্য এই অসাধু কৌশল অবলম্বন করেছেন বলে মনে করছেন তিনি।
প্রার্থী ইমরুল চৌধুরীর আইনজীবী আজাহার উল্লাহ ভূঁইয়া বলেন, আবু নামের নামের এক ব্যক্তি হাইকোর্টে ওই রিটটি দায়ের করেন। পরে ২৯ আগস্ট আদেশের জন্য ওই রিট আবেদনটি বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিমের কার্যতালিকাভুক্ত হয়। তবে বাদীর আবেদনে সন্তুষ্ট না হয়ে বিচারক রিটটি সেই দিনের কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন। অথচ আদেশ দেওয়া হয়েছে এমন একটি জাল সার্টিফাইড কপি তৈরি করে তা জেলা রিটার্নি অফিসারের কাছে জমা দেওয়া হয়। সেখানে ওই নির্বাচনের দুইজন প্রার্থীর মধ্যে একেএম ইমরুল চৌধুরীকে বাদ দেওয়া ও অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারের আদেশ ৪ মাসের জন্য স্থগিতাদেশের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। পরে রিটার্নিং কর্মকর্তা নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেন।
অ্যাডভোকেট আজাহার উল্লাহ ভূঁইয়া আরও জানান, এ সংক্রান্ত সার্টিফাইড কপিটি নিয়ে হাইকোর্টে হাজির হয়ে জানতে পারি ওই রিটের বিষয়ে কোনো আদেশ হয়নি। এরপর কপিতে যে আইনজীবীর নাম ছিল তাকে হাজির থাকার নির্দেশ দিয়ে ওই রিটের আদেশের জন্য আজকে (সোমবার) দিন ধার্য করেন বিচারক। কিন্তু তিনি আজ আদালতে হাজির না হওয়ার বিচারক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শশাঙ্ক শেখর সরকারকে এ বিষয়ে পর্যালোচনা করে বক্তব্য প্রদানের কথা বলেছেন এবং একই সঙ্গে রিট পিটিশনটি আগামীকাল মঙ্গলবারের কার্যতালিকায় পুনারায় আদেশ জন্য নির্ধারণ করেছেন।
বিডি-প্রতিদিন/১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭/মাহবুব