স্থানীয় সরকারের অধীনে সর্বোচ্চ টার্নওভার শর্ত বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে মাদারীপুরের ঠিকাদাররা। সোমবার সকালে মাদারীপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এসময় বক্তরা তাদের দাবি না মানলে বৃহৎ আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দেন।
এসময় বক্তারা বলেন, বর্তমানে সরকার যে পদ্ধতিতে টেন্ডার আহ্বান করছে তাতে হাতেগোনা কয়েকজন ঠিকাদার টেন্ডারে অংশগ্রহন করতে পারলেও বাকিরা সবাই বাদ যাচ্ছে। এতে সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে। কারন বর্তমান সিস্টেমে যাদের টার্নওভার বেশি তারাই কাজে যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবেন। এ জন্য মাদারীপুর জেলায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মাত্র ৩টি প্রতিষ্ঠানের বেশি অংশ গ্রহন করে না।
বক্তারা বলেন, বেশি ঠিকাদার দরপত্র ক্রয় করলে সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব পেতো। টার্নওভার বেশি হওয়ার কারনে ছোট এবং মাঝারি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান দরপত্রে অংশগ্রহন করলেও কাজের সুযোগ পায় না। তাই ছোট এবং মাঝারি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহনে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। এ প্রথার কারনে দিন দিন বড় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ পাচ্ছে আর ছোট-মাঝারি প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।
এসময় বক্তারা টার্নওভার শর্ত বাতিলের দাবি জানিয়ে আরও বলেন, বর্তমানে মাদারীপুরসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলের নতুন কোন ঠিকাদার সৃষ্টি হচ্ছে না। নতুন ঠিকাদার সৃষ্টি না হওয়ায় সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। মাদারীপুরে ৪ শতাধিক ঠিকাদার থাকলেও সমস্ত উন্নয়ন কাজ মাত্র তিনটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান করে থাকে। কারন ওদের টার্নওভার বেশি তাই ওরাই কাজ পায়। এসব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ঢাকা এবং চট্রগ্রামের বড় বড় প্রতিষ্ঠান। একই প্রতিষ্ঠান এতো বেশি সংখ্যক কাজ করলে কাজের মানও কমে যায়। তাদের এতো কাজ করার মত জনবলও নেই। এছাড়াও আগে সিস্টেম ছিলো একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান একই সময় মাত্র তিনটি কাজ করতে পারবে। বর্তমানে সেই নিয়মও মানা হচ্ছে না। বর্তমানে মাদারীপুরে তিনটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান শতাধিক উন্নয়ন কাজ করছে। যা নিয়ম বর্হিভুত।
এসময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মাদারীপুর জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও প্রথম শ্রেণীর ঠিকাদার আব্দুল মান্নান লস্কর, ঠিকাদার আনোয়ার হোসেন, ইদ্রিস সিকদার প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭/ওয়াসিফ