নাটোর শহরের মধ্যদিয়ে যাওয়া প্রায় ৬ কিলোমিটার প্রধান সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্পের কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত ৫৮ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ব্যয়ে কাঙ্ক্ষিত এই সড়কের প্রশস্তকরণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ শফিকুল ইসলাম শিমুল।
শুক্রবার বিকেলে সড়কের উভয় দিকে বনবেলঘড়িয়া এবং বড় হরিশপুর এলাকায় ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাজেদুর রহমান খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খাইরুল ইসলাম, পৌরসভার মেয়র উমা চৌধুরী জলি, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মর্তুজা আলী বাবলু, আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যাপক সামছুল ইসলাম, দিলীপ কুমার দাস প্রমুখ।
উদ্বোধন উপলক্ষে বনবেলঘরিয়া বাইপাস মোড়ে জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম প্রামানিকের সভাপতিত্বে আয়োজিত সমাবেশে সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার দেশ ও মানুষের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
এরই ফলশ্রুতিতে আমরা দ্রুত মধ্যমা আয়ের দেশ এবং পর্যায়ক্রমে উন্নত দেশে পরিণত হতে যাচ্ছি। সারা দেশের সুষম উন্নয়নের অংশীদার নাটোরবাসীও। বহু যুগ ধরে নাটোরের মানুষের কাঙ্ক্ষিত শহরের প্রধান সড়ক প্রশস্তকরণ কার্যক্রম বাস্তবায়িত হলে নিবিঘ্নে যাতায়াত ছাড়াও নাটোরে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটার মধ্যদিয়ে মানুষের কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে এবং জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন হবে।
নাটোর সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এই প্রকল্পে শহরের বড় হরিশপুর বাইপাস থেকে
বনবেলঘরিয়া বাইপাস পর্যন্ত ১২ দশমিক ২০ মিটার সড়কের মাঝে ডিভাইডারের উভয় দিকে ১৮ ফুট করে রাস্তা প্রশস্তকরণ করা হবে। রাস্তার উভয় দিকের মোট ৩৬ ফুট রাস্তা ও ৮ ফুট ফুটপাত এবং চার ফুট মিডিয়ানসহ সড়কের মোট প্রশস্ততা হবে ৪৮ ফুট।
সড়কের উভয় দিকের প্রকল্প বাস্তবায়নে জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন না হলেও সড়কের ধারের কিছু অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং বৈদ্যুতিক খুঁটি ও পানি সরবরাহ লাইন স্থানান্তরের প্রয়োজন হবে। ইতোমধ্যে সড়কের দুই ধারে অনেক ব্যবসায়ী তাদের অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে শুরু করেছেন। কাঙ্ক্ষিত এ সড়ক প্রশস্তকরণ কাজের উদ্বোধন করায় নাটোরবাসীর প্রায় ৪০ বছরের প্রত্যাশা পূরণ হলো।
নাটোর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম প্রামানিক বলেন, প্রকল্পাধীন সড়কের দুই ধারে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ১৯৬টি বৈদ্যুতিক খুঁটি স্থানান্তরের জন্য বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে ৯১ লাখ টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে।
ইতিমধ্যে এ সংক্রান্ত দরপত্র প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। নাটোর পৌরসভার মাধ্যমে পানি সরবরাহ লাইন স্থানান্তরের প্রক্রিয়াও খুব দ্রুত শুরু করা হবে। চলতি অর্থ-বছরে প্রকল্পের ব্যয় নির্বাহের জন্যে মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে ১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। ২০১৯ সালের ৩০ জুনের আগেই এই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/০৬ অক্টোবর ২০১৭/আরাফাত