নাটোর পৌরসভার জন্য বরাদ্দ ১৮ কার্টন দুম্বার মাংস পৌর মেয়রের কাছে হস্তান্তর না করে তা পৌর আওয়ামী লীগ ছিনিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নাটোর পৌরসভার মেয়র উমা চৌধুরী। এ নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনও বিড়ম্বনায় পড়েছেন।
নাটোর পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, গতকাল জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সৌদি আরব থেকে আসা দুম্বার মাংস বিতরণের যে তালিকা তৈরি করা হয় তাতে নাটোর পৌরসভাকে ১৮ কার্টন বরাদ্দ দেওয়া হয়। বরাদ্দ মাংস হস্তান্তরের সময় পৌর মেয়রকে না দিয়ে সমুদয় মাংস পৌর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ফরহাদ হোসেনকে দিয়ে দেওয়া হয়। তিনি পৌর আওয়ামী লীগের পক্ষে ওই মাংস গ্রহণ করেন।
এ সময় নাটোর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন, নলডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা রেজা হাসান ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আয়শা সিদ্দিকা। পরে পৌর মেয়র উমা চৌধুরী অনেক চেষ্টা করেও ওই মাংস ফিরে পাননি।
মেয়র উমা চৌধুরী বুধবার রাতে জানান, তাঁর পৌরসভার জন্য বরাদ্দ ১৮ কার্টন মাংস পৌর আওয়ামী লীগ ছিনতাই করেছে। জেলা আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার ইন্ধনে স্থানীয় প্রশাসন এই ছিনতাইয়ের ঘটনা মেনে নিয়েছেন। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
নাটোর পৌর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ফরহাদ হোসেন বলেন, আমাকে প্রথমে পৌর কাউন্সিলর হিসেবে দুম্বার মাংস গ্রহণ করতে বলেছিলেন ইউএনও ও পিআইও। আমি তা গ্রহণ করতে অস্বীকার করে বলেছিলাম মেয়রকে দেওয়ার জন্য। পরে জেলা আওয়ামী লীগের কিছু নেতার পরামর্শে ওই মাংস দলীয়ভাবে বিতরণের জন্য আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। '
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজা হাসান বলেন, 'দুম্বার মাংস বিতরণের সুনির্দিষ্ট কোনো নীতিমালা তিনি পাননি। তাই যাদের মাধ্যমে মাংস অসহায় দরিদ্রদের মাঝে পৌঁছানো যায় তাদের হাতে হস্তান্তর করেছেন। আরো কিছু মাংস রয়েছে এগুলো সাংসদ নিজে বিতরণ করবেন।
নাটোর পৌর মেয়রকে না দিয়ে কেন দলীয় লোককে মাংস দিয়ে দেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে এ ব্যাপারে তিনি পরিষ্কার করে কিছু বলতে পারেননি।
উল্লেখ্য, ইউনিয়ন পরিষদের জন্য ১০ কার্টন করে দুম্বার মাংস সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে বিতরণ করা হলেও পৌরসভার ক্ষেত্রে তা করা হয়নি।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার