বরিশালের মুলাদী উপজেলার বাটামারা ইউনিয়নের টুমচর গ্রামে ঘুমন্ত বৃদ্ধ আলী আকবর হাওলাদারের (৬৫) মাথায় উপর্যপুরি কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আজ মুলাদী থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে বরিশাল মর্গে প্রেরণ করেছে। সোমবার রাতে হত্যা শেষে ঘাতকরা নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকারসহ দুটি গরু লুট করে। ৩১ ডিসেম্বর একই এলাকায় সংঘটিত একটি সহিংস ঘটনার প্রতিশোধ নিতে এই হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে বলে দাবি নিহতের স্বজনদের।
স্থানীয়রা জানান, গত ৩১ ডিসেম্বর জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে উপজেলার বাটামারা ইউনিয়নের টুমচর, বাইলারচর ও চিঠিরচর এবং সফিপুর ইউনিয়নের উত্তর বালিয়াতলী গ্রামে তান্ডব চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। বোমা, রামদা, লাঠি-সোটা, লেজা- টেটার হামলায় নারী-শিশু সহ অন্তত ২০ জন আহত হয়। এ ঘটনায় আলতাফ সরদার বাদী হয়ে ২৯ জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার এক আসামী শাহজালাল নিহতের নিহতের মেয়ে জামাই। শাহজালাল তার বাড়ি লুটের আশংকায় তার গরু, স্বর্ণালংকার ও টাকা পয়সা শ্বশুড় বাড়ি গচ্ছিত রাখে। বিষয়টি জানতে পেরে গত সোমবার গভীর রাতে ওই বাড়ি হানা দেয় ঘাতকরা।
প্রত্যক্ষদর্শী মজিবর হাওলাদার জানান, ডাক-চিৎকার শুনে তিনিসহ অন্যান্যরা ঘর থেকে বের হলে লুটপাট মামলার বাদী আলতাফ, আব্বাস, সুলতান ও শাহিনসহ ৮ -১০ জনকে যেতে দেখেন। তারা যাওয়ার পর ওই ঘরে গিয়ে দেখতে পান আকবরের লাশ তার খাটের উপর পড়ে আছে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার মাথায় ২০টি কোপ দেওয়া হয়েছে।
ঘাতকরা নিহতের জামাই জালাল ও তার ছেলেদের হত্যার উদ্দেশ্যে এসেছিল বলে অভিযোগ করেন মজিবর। কিন্তু আগেভাগে বিষয়টি বুঝতে পেরে তারা বাড়ি ছেড়ে আত্মগোপন করে। তারা ঘরে না থাকায় বেঁচে যান। খবর পেয়ে পুলিশ আজ সকালে আকবরের লাশ উদ্ধার করে বরিশাল মর্গে প্রেরণ করে।
মুলাদী থানার ওসি মতিউর রহমান জানান, আলী আকবর হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের চেস্টা চলছে। নিহতের স্বজনদের অভিযোগ মামলা হিসেবে রুজু করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার