নাটোরের লালপুরে বিলমাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিন্টুর বিরুদ্ধে গ্রাম্য শালিসে মনিকা খাতুন (৩০) নামের এক গৃহবধূকে নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে লালপুর উপজেলা মহিলা পরিষদ। আজ বিকেলে উপজেলা পরিষদ গেটের সামনে লালপুর-নাটোর সড়কে মানববন্ধন করেন তারা।
এ সময় বক্তব্য রাখেন, মহিলা পরিষদ লালপুর শাখার সভাপতি যোবেদা খাতুন জেবা, সাধারণ সম্পাদক আছিয়া জয়নুল বেনু, প্রচার সম্পাদক সায়রা খাতুন, গোপালপুর আদর্শ মহিলা ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক কামনা রায় প্রমুখ। বক্তারা মিন্টুকে অবিলম্বে গ্রেফতার সহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নির্যাতিত মনিকা খাতুন জানান, গত ২৬ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) তার শিশু সন্তান মাহি’র সাথে প্রতিবেশী আকছেদ আলীর সন্তানের মারামারিকে কেন্দ্র করে আকছেদ আলীর স্ত্রী তানজিলার সাথে তার মারামারি হয়। এ বিষয়ে গত শুক্রবার এক শালিসে বিলমাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিন্টু তাকে একতরফা দোষী সাব্যস্ত করে বাঁশের লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে। শুধু তাই নয়, মিন্টু চেয়ারম্যানের লোকজন তাকে চিকিৎসার জন্য বাড়ী থেকে বের হতে দেয় নি। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় সোমবার (০১ জানুয়ারি) তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মনিকা চক বাদকয়া গ্রামের ভাষান আলীর স্ত্রী।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিন্টু জানান, তিনি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার। তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা, তিনি কোন মহিলাকে মারপিট করেননি।
এ ব্যাপারে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আব্দুর রাজ্জাক জানান, গৃহবধূর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
লিখিত অভিযোগ প্রাপ্তির বিষয়টি স্বীকার করে লালপুর থানার ওসি আবু ওবায়েদ জানান, এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে । এটা পুলিশ সুপার মহোদয়ের অবগতিতে আছে। নিবিড় তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/২ জানুয়ারি ২০১৮/হিমেল