নরসিংদীতে যৌতুকের জন্য মাথার চুল ও ভ্রু কেটে দেয়ার পর সিগারেটের অাগুনে ঝলসে দেয়ার ঘটনায় গৃহবধূর শ্বশুর আসেম মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ ভোর রাতে তাকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে রায়পুরা থানা পুলিশ।
নির্যাতিতার পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বিয়ের কিছু দিন পর থেকে সুমির স্বামী কবির মিয়া যৌতুকের জন্য তার উপর নির্যাতন শুরু করেন। বিভিন্ন অজুহাতে যৌতুক এনে দেয়ার জন্য সুমিকে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। যৌতুক এনে দিতে অস্বীকার করলেই তার উপর নেমে আসে নির্যাতন। সম্প্রতি কবির মিয়া বাড়ীতে একটি ঘর নির্মাণের কাজ শুরু করেন। ঘর নির্মাণ করার জন্য তিন লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করেন।
গৃহবধূ সুমী যৌতুক এতে দিতে অস্বীকার করলে গত শনিবার বিকেলে সুমিকে এলোপাথারী মারপিট শুরু করেন কবির। পরে কেচি এনে তার মাথার চুল কেটে দেন। তার দেবর চোখের ভ্রু কেটে দেন। এসময় তার শ্বশুর হাসেম মিয়ার হাতে থাকা সিগেরেট দিয়ে সুমির দুই হাতে ছ্যাকা দেয়া হয়। এক পর্যায়ে স্বামী, শ্বশুর, শাশুরি ও দেবর মিলে সুমির উপর নির্যাতন করেন। সে সঙ্গাহীন হয়ে পড়লে খবর পেয়ে তার বাপের বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে স্বামী, শ্বশুর, শাশুরি ও দেবরসহ ৫ জনকে আসামি করে রায়পুরা থানায় মামলা দায়েল করেন নির্যাতিতা সুমি। এরই ধারাবাহিকতায় আজ বুধবার ভোর রাতে সুমির শ্বশুর আসেম মিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
রায়পুরা থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন বলেন, নির্যাতনের ঘটনায় নির্যাতিতার শ্বশুরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
বিডি প্রতিদিন/৩ জানুয়ারি ২০১৮/হিমেল