বরিশালের বাকেরগঞ্জে মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের জন্য বন্ধু রোমান খলিফাকে মদ খাইয়ে গলা কেটে হত্যা করার স্বীকারোক্তি দিয়েছে অন্যতম ঘাতক আমানউল্লাহ। বরিশালের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. ফারুক হোসেনের আদালতে এই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন ঘাতক আমান।
জবানবন্দি গ্রহণ শেষে বিচারক তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। কারান্তরীন আমান নলছিটি পৌর এলাকার খোঁজাখালী গ্রামের মসজিদের ইমাম মাওলানা আলাউদ্দিনের ছেলে।
আদালত সূত্র জানায়, থার্টি ফাস্ট নাইট উপলক্ষে ওই দিন দুপুরে আমানউল্লাহ তার বন্ধু নলছিটির খোঁজাখালী গ্রামের বাদশা খলিফার ছেলে রোমানকে নিয়ে ঘুরতে বের হয়। রাস্তায় তাদের মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ওইদিন বিকেলে আমান তার বন্ধু রোমানকে বাকেরগঞ্জের জোলাখালী গ্রামে চাচার পরিত্যাক্ত বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে দুইজন মদপান করে। আগে থেকেই রোমানের মদের মধ্যে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে রেখেছিলো আমানউল্লাহ। ওষুধ মেশানো মদ পান করে রোমান দ্রুত ঘুমিয়ে পড়লে আমান নেশাগ্রস্থ অবস্থায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে রোমানকে গলা কেটে হত্যা করে। রোমানকে হত্যার পর তার মোটরসাইকেলটি বিক্রি করে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল তার। মোটরসাইকেলের জন্য আমান একাই এই হত্যাকান্ডটি ঘটিয়েছে বলে জবানবন্দিতে স্বীকার করেছে। হত্যাকাণ্ডের পরদিন ১ জানুয়ারি স্থানীয়রা আমানকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
এদিকে আদালতে আমানের দেওয়া স্বীকারোক্তিতে অপর বন্ধু গ্রেফতারকৃত রোহানের জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করা হয়নি। তবে নলছিটি থেকে রোমানের মোটরসাইকেলে আমান ও রোহান একই সঙ্গে বাকেরগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছিল বলে স্বীকারোক্তিতে উল্লেখ করে আমান।
গত ৩১ ডিসেম্বর নলছিটি থেকে দপদপিয়া যাওয়ার পর নিখোঁজ হয় রোমান। এরপর রোমানের পরিবার তার কোন সন্ধান পায়নি। পরদিন গত সোমবার (১ জানুয়ারি) বাকেরগঞ্জের জোলাখালী এলাকার এক ইউপি সদস্য নলছিটির পৌর কাউন্সিলর নুরুল আলম স্বপনকে মুঠোফোনে রোমান হত্যাকেণ্ডের ঘটনা অবহিত করে। খবর পেয়ে রোমানের বাবা-মা বাকেরগঞ্জ থানায় গিয়ে তাদের সন্তানের লাশ সনাক্ত করেন।
এ ঘটনায় রোমানের বাবা বাদী হয়ে আমানউল্লাহকে প্রধান এবং অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনকে আসামি করে বাকেরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন