বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার মধ্য চরাদী গ্রামে ধর্ষণের পর লোকলজ্জায় ক্ষোভে-অপমানে নিজের শরীরে আগুন দিয়ে স্কুলছাত্রী সোনিয়া আক্তার (১৩) আত্মহননের ঘটনায় অভিযুক্তের পরিবারের ৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোনিয়ার মৃত্যুর ৩দিন পর মঙ্গলবার রাতে তার মা শিউলী বেগম বাদী হয়ে বাকেরগঞ্জ থানায় ওই মামলা দায়ের করেন।
বরিশালের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হুমায়ুন কবির জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধ দমন আইনে মামলাটি দায়ের হয়েছে। প্রযুক্তি ব্যবহার করে এজাহারভুক্ত আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তাদের পাওয়া মাত্র গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
এজাহাভুক্ত আসামিরা হল- আত্মহননকারী সোনিয়ার দূসম্পর্কের চাচা প্রধান অভিযুক্ত আসাদ খান, তার ছোট ভাই আরিফ খান, তাদের বাবা মোশারেফ হোসেন পান্না খান এবং আসাদের মামাতো ভাই তারেক।
ডিম ভেঁজে দিতে সহায়তা করার জন্য গত ২৭ ডিসেম্বর সকাল ১১টায় চরাদি ইউনিয়নের মধ্য চরাদি গ্রামের হতদরিদ্র দুলাল খানের মেয়ে স্থানীয় শেরেবাংলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী সোনিয়া আক্তারকে নিজের খালি ঘরে ডেকে নেয় প্রতিবেশী আসাদ খান। পরে ঘরের দরজা বন্ধ করে জোরপূর্বক সোনিয়াকে ধর্ষণ করে সে। ধর্ষিত হওয়ার পর লোক লজ্জায় ক্ষোভে-অপমানে সোনিয়া নিজের ঘরে গিয়ে শরীরে কেনসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। গুরুতর দ্বগ্ধ অবস্থায় প্রথমে তাকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেলে এবং পরে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পহেলা জানুয়ারী ভোররাতে সোনিয়ার মৃত্যু হয়। ঢাকা মেডিকেল মর্গে ময়না তদন্ত শেষে সোনিয়ার মরদেহ গত মঙ্গলবার তার নিজ বাড়ির পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়। ওই দিনই নিহতের মা শিউলী বেগম বাদী হয়ে আসাদ খানসহ ৪ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। নিহতের সহপাঠী এবং পরিবারের সসদস্যরা এ ঘটনায় জড়িতদের দৃস্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার