কনকনে ঠান্ডা আর হিমেল হাওয়ায় কাহিল হয়ে পড়েছে দিনাজপুরেরর সাধারণ মানুষ। শৈত্যপ্রবাহের দাপটে কাঁপছে দিনাজপুরবাসী। গত ক’দিনের টানা শৈত্য প্রবাহ, ঘন কুয়াশা ও প্রচন্ড ঠান্ডায় নাকাল হয়ে পড়েছে জনজীবন।
রবিবার সকালে দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে শিশু ও বৃদ্ধরা শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে কিংবা আউটডোরে চিকিৎসা নিচ্ছে।
গত ২৪ ঘন্টায় চিরিরবন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালে নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে শিশু, ডায়রিয়ায়সহ অন্যান্য রোগে ১৩ জন ভর্তি হয়েছে।
এ ব্যাপারে চিরিরবন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এর ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মর্তূজা আল মামুন জানান, চিরিরবন্দর উপজেলা হাসপাতালে গত ২৪ ঘন্টায় ১৩ জন ভর্তি হয়েছে। এদের মধ্যে শিশুর সংখ্যাই বেশি। এছাড়া ঠান্ডাজনিত কারণে প্রতিদিন ২০/২৫জন শিশুসহ অন্যান্যরা আউটডোরে চিকিৎসা সেবা নিয়ে যাচ্ছে।
গরম কাপড়ের অভাবে খড়কুটোতে আগুন জ্বালিয়ে অনেকে কোন রকমে শীত নিবারন করতে দেখা গেছে। রাতে ঘন কুয়াশাগুলো বৃষ্টির মতো ঝিরঝির করে ঝড়ছে। রবিবার সূর্য্য'র আলো দেখা যায়নি। শীতে বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে দিনাজপুরের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। তীব্র শীতে ছিন্নমূল মানুষের যেমন বেড়েছে দুর্ভোগ, তেমনি কাজ করতে না পারায় শ্রমজীবীরা পড়েছেন বিপাকে। এছাড়া প্রয়োজন ছাড়া সকালে এবং সন্ধ্যার পর ঘর থেকে তেমন বের হচ্ছে না সাধারণ মানুষ।
এদিকে, চিরিরবন্দর উপজেলার ঈসবপুর ইউনিয়নের ইয়াকুবপুর গ্রামের সাইফুল ইসলাম জানান, শীতের কারণে তাদের আলুক্ষেতে ছত্রাক জাতীয় রোগ দেখা দিয়েছে। এতে বাড়তি অর্থ ব্যয় করে ফসলে ছত্রাক জাতীয় ওষুধ স্প্রে করতে হচ্ছে। অনেক গাছ মরেও গেছে।
দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল ইসলাম জানান, রবিবার সকালের দিকে তাপমাত্রা ৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল চলতি মৌসুমে রেকর্ডকৃত সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এটি গত শীত মৌসুমের তাপমাত্রাকেও ছাড়িয়ে গেছে। গত মৌসুমে ছিল ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী ২-৩ দিন পর্যন্ত এই অবস্থা থাকতে পারে। তবে আগামী মঙ্গলবার-বুধবার অবস্থার উন্নতি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বিডিপ্রতিদিন/ ০৭ জানুয়ারি, ২০১৮/ ই জাহান