গত কয়েক দিনের টানা শৈত প্রবাহ ও উত্তরের হিমেল হাওয়ার কারণে নওগাঁয় জেঁকে বসেছে প্রচন্ড শীত। এদিকে প্রচন্ড শৈত প্রবাহ ও শীতের কারণে রবিবার দুপুরে আব্দুল জলিল (৬৫) নামে এক বৃদ্ধ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। বৃদ্ধ আব্দুল জলিল উপজেলার সিম্বা গ্রামের বাসিন্দা।
জানা যায়, রবিবার দুপুরে রানীনগর উপজেলার সিম্বা এলাকায় একটি গভীর নলকূপের ডেনম্যান আব্দুল জলিল পানি সেচ করার সময় প্রচন্ড শীতে জমিতে পরে যায়। লোকজন দেখতে পেয়ে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। গভীর নলকূপ মালিক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আল ফারুক জেমস জানান, প্রচন্ড শীতের কারনে তিনি জমিতে পরে গিয়ে মারা যান।
চলতি শীত মৌসুমের পৌষ মাসের বেশির ভাগ সময় অতিবাহিত হলেও তেমন কোন শীতের প্রকোপ দেখা যায়নি। তবে গত ৪/৫ দিন আগে থেকে একেবারে জেঁকে বসেছে প্রচন্ড শীত। দুপুর নাগাদ কিছুটা হালকা রোদের দেখা মিললেও শেষ বিকেল থেকে পরের দিন দুপুর পর্যন্ত উত্তরের হিমেল হাওয়ায় এবং ঘন কুয়াশায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ফলে খেটে খাওয়া শ্রমজীবি, কর্মজীবি সাধারন মানুষরা পড়েছেন চরম বেকায়দায়। অনেকেই সকাল অথবা সন্ধ্যায় খর-কুটায় আগুন জেলে শীত নিবারনের চেষ্টা করছেন। কাজ ছাড়া ঘরের বাহিরে বের হচ্ছেন না কেউ।
রানীনগর উপজেলার সিম্বা মাঠে ধান লাগানো শ্রমিক আজাহার আলী ও জাহিদুল ইসলাম জানান, সকালে প্রচন্ড ঘনকুয়াশা ও শৈত প্রবাহের কারনে সময় মতো কাজে যোগদান করতে পারছেন না। ফলে একদিনের কাজ দু’দিনে করতে হচ্ছে। এতে দৈনন্দিন জীবন চলা মষ্কিল হয়ে পড়েছে। এর সাথে বেড়ে গেছে শীতজনিত রোগ।
রানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোনিয়া বিনতে তাবিব ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, তীব্র শীতের কারনে উপজেলা পরিষদ থেকে সরকারীভাবে প্রায় আড়াই হাজার শীত বস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি আরো ৪ হাজার শীত বস্ত্রের চাহিদা পাঠানো হয়েছে।
বিডিপ্রতিদিন/ ০৭ জানুয়ারি, ২০১৮/ ই জাহান