আশির দশকে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম মৎস্য হ্যাচারী ছিল লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার ৫৪ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত মৎস প্রজনন ও প্রশিক্ষন কেন্দ্র। কয়েক বছর ধরে জনবল, বিদ্যুৎ ও পানি সংকটে পিছিয়ে পড়েছে এ প্রতিষ্ঠানটি। ফলে ভেস্তে যেতে পারে বিপুল সম্ভাবনাময় এ প্রতিষ্ঠানকে ঘিরে সরকারের উদ্দেশ্য।
জানা গেছে, চাঁদপুর সেচ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ প্রকল্পের ২ হাজার ৪শ' ২৮ হেক্টর বদ্ধ জলাশয়, ২ হাজার হেক্টর জমির বেরোপিট ও প্রধান খালগুলোতে মাছ চাষের লক্ষ্যে মৎস প্রজনন কেন্দ্র করার উদ্যোগ নেয় সরকার। রুই জাতীয় মাছের রেনু ও পোনা সরবরাহ করে মাছের উৎপাদন বাড়ানোর উদ্দেশ্যে ১৯৭৯ সালে এটি স্থাপন করা হয়। ৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যায়ে প্রতিষ্ঠিত রায়পুর মৎস প্রজনন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি উৎপাদন শুরু করে ১৯৯২ সালে। ২১.৮৩ হেক্টর আয়তনের এ কেন্দ্রে মোট পুকুর আছে ৭৫টি। যাকে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম মৎস প্রজনন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বলা হয়।
মৎস প্রজনন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, এখানে ৮১জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর অনুমোদন রয়েছে। কর্মরত আছেন, মাত্র ২৮ জন। বাকি ৫৩টি পদে দীর্ঘদিন ধরে লোকবল না থাকায় কার্যক্রম চরমভাবে ব্যহত হচ্ছে। শূন্য পদগুলো হলো, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ৬টি, মৎস সম্প্রসারণ সুপারভাইজার ৪টি, ক্ষেত্রযোগ গবেষণাগার ৬টি, দক্ষ ফিশারম্যান ৬টি, ও অফিস সহায়ক, হ্যাচারী গার্ড, নৈশপ্রহরী ৪টি করে, প্রশাসনির কর্মকর্তা, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা, উপ-সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) ১টি করে। এছাড়াও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর পদ শূণ্য রয়েছে। ফলে ব্যাহত হচ্ছে, উৎপাদন কার্যক্রম। রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।
মৎস প্রজনন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন বলেন, লোকবল সংকটের কারণে উৎপাদন ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে। শূণ্য পদে লোক নিয়োগের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট বারবার আবেদন জানানো হয়েছে। আশা করা যায় দু'এক মাসের মধ্যে এ সমস্যার সমাধান হবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার