নরসিংদীতে চাঞ্চল্যকর যুবলীগ নেতা মাহামুদুল হাসান সৈকত হত্যাকাণ্ডের মামলায় আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্ধী দিয়েছে ডিবি পুলিশের হাতে আটক এই মামলার আসামি সোবহান। এতে সে জানিয়েছে, শহরের প্রাণকেন্দ্র পৌরসভার সামনে সিটি সেন্টার নামক একটি মাল্টিস্টোরিড বিল্ডিং এর ১৬ তলার ছাদে ফিল্মি স্টাইলে দড়ি দিয়ে উল্টো করে নির্যাতন করে হত্যা করা হয় সৈকতকে।
সোমবার নরসিংদী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের খাস কামরায় এই জবানবন্দী প্রদন করেন হত্যকাণ্ডে অংশ নেয়া সোবহান। সে শহরের পশিচম দত্তপাড়া এলাকার রহিম মুন্সির ছেলে। হত্যাকাণ্ডে আরও ৯ জন জড়িত ছিল বলে জবানবন্দীতে উল্লেখ করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক রুপন কুমার সরকার জানান, অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে সৈকতের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন বন্ধু ও সহযোগীরা তার উপর ক্ষুব্ধ হয়। এই রোষাণলে নরসিংদী পৌরসভা সংলগ্ন সিটি সেন্টারের ১৬ তলা ছাদে ২৬ মার্চ দুপুরে শুরু হয় তার উপর নির্মম নির্যাতন। রাত পর্যন্ত চলে নির্মম পিটুনি। এক পর্যায়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে সৈকত। পড়ে তার মরদেহ শিবপুরের পুড়ান্দিয়া এলাকায় ফেলে রেখে আসে তারা। পরে শিবপুর থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। এই ঘটনায় নিহতের বড় ভাই বাদি হয়ে ৩ জনের নামা উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরো ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় সঠিক তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে সোবহান গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। এবং হত্যার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করেন।
জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা সাংবাদিকদের বলেন, চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারে কাজ করছে পুলিশ। ইতোমধ্যেই একজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছে। খুব শিগগিরই এই খুনের নেপথ্যের নাকয়দের গ্রেপ্তারসহ মূল রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে বলেও তিনি জানান।
বিডি-প্রতিদিন/০৩ এপ্রিল, ২০১৮/মাহবুব