নাটোরের সিংড়া উপজেলায় পরিবেশ বান্ধব গাছে গাছেই মিলছে ক্লিনিক, চিকিৎসক, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় কোচিং সেন্টার, ব্যবসা-বানিজ্য প্রতিষ্ঠান ও রাজনৈতিক নেতাদের শুভেচ্ছা বানী।
উপজেলা ঘুড়ে দেখা যায়, বিভিন্ন সড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ হাট বাজারের মোড় গাছগুলোর গাছে গাছে পেরেক ঠুকিয়ে টানানো হয়েছে ছোট বড় হরেক মাপের ব্যানার-ফেস্টুন। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক নেতা, নিষিদ্ধ কোচিং সেন্টার, বেসরকারি স্কুল-কলেজ নিজেদের বিজ্ঞাপন প্রচারে এমন নির্দয়ভাবে গাছগুলো ক্ষত-বিক্ষত করে চলেছে প্রতিনিয়িত। এর মধ্যে ক্লিনিক ও চিকিৎসকদের বিজ্ঞাপনের ব্যানার সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে।
চৌগ্রামের বাসিন্দা পরিবেশকর্মী রবিন খান জানান, গাছ মানুষের জন্য খুবই উপকারি। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যক্তিরা নিজেদের স্বার্থে গাছে গাছে পেরেক দিয়ে বিলবোর্ড ব্যানার টাঙাচ্ছে। এর ফলে অনেক গাছ মারা যাচ্ছে। পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে।
উপজেলা বন কর্মকর্তা মাহবুবুল আলম জানান, গাছে পেরেক মেরে সাইন বোর্ড লাগানো অবৈধ। এ বিষয়ে ইউএনও মহোদয়কে অবহিত করা হয়েছে। ২-৩ দিনের মধ্যে সাইনবোর্ডগুলো সরিয়ে নিতে নোটিশ প্রদান করা হবে।
এ বিষয়ে পরিবেশ উন্নয়ন ও প্রকৃতি সংরক্ষন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ বলেন, গাছ আমাদের পরম বন্ধু। গাছ অক্সিজেন দেয়। জীবনধারণের উপকারী বন্ধু গাছ রক্ষায় সবার এগিয়ে আসা উচিত। গাছে পেরেক ঠুকিয়ে ব্যানার-ফেস্টুন লাগানো হলে গাছের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যহত হয়। তিনি পেরেক ঠুকিয়ে ব্যানার-ফেস্টুন লাগানো বন্ধের দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে দ্রুতই কর্মসূচি হাতে নেয়া হবে বলে জানান।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সন্দ্বীপ কুমার সরকার বলেন, গাছে পেরেক মেরে ব্যানার-ফেস্টুন বা বিজ্ঞাপন জাতীয় কোনকিছুই টাঙানো ঠিক নয়। গাছ রক্ষায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জনসচেতনতা আরও বাড়াতে হবে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা করে গাছ থেকে বিলবোর্ড, ব্যানার ও ফেস্টুন গাছ থেকে খুলে দিতে যা যা দরকার তা করা হবে বলে তিনি জানান।
বিডি প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর