নরসিংদীর দুর্গম চরাঞ্চলে থামছে না টেঁটা সংঘর্ষ। আধিপত্ব ও মামলা সংক্রান্ত বিষয়ের জের ধরে কুপিয়ে আহত করেছে প্রতিপক্ষ। শুক্রবার রাতে জামিনে ফিরে সদর উপজেলার চরদিঘলদী ইউনিয়নের অনন্তরামপুর গ্রামে এ হামলা চালায় এক পক্ষ। এ সময় তিনজন আহত হয়। এ ঘটনায় আজ সকালে মাধবদী থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, এলাকার আধিপত্ব, পূর্ব শত্রুতা ও মামলার জের ধরে সদর উপজেলার চরাঞ্চল চরদীগলদী ইউনিয়নের অনন্তরামপুর গ্রামের ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলমঙ্গীর হোসেনের সাথে একই গ্রামের ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নেওয়াজ আলী মেম্বারের সাথে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এর জের ধরে গত দুই সপ্তাহ আগে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে আলমঙ্গীর হোসেনের সমর্থক মোহাম্মদ আলী (৩০) নিহত হয়। এ ঘটনায় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নেওয়াজ আলী মেম্বারকে প্রধান আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এরপর থেকে তারা গাঁ ঢাকা দেয়। এরই মধ্যে নেওয়াজ সমর্থকরা হাই-কোর্ট থেকে জামিন নিয়ে শুক্রবার গ্রামে ফিরেন। সন্ধ্যার পর আলমঙ্গীর সমর্থক মোবারক ও আক্তার মিয়া বাড়ির অদূরে দাঁড়িয়ে কথাবলছিল। এসময় নেওয়াজ সমর্থক জয়নাল, রাজা মিয়া ও হেলালের নেতৃত্বে এক দল লোক ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের উপর অর্তকিত হামলা চালায়। প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তারা মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে তাদের আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আলমঙ্গীর হোসেন বলেন, গত ১৫ দিন আগে তারা আমাদের গ্রামের একজনকে হত্যা করে। মামলা করায় তারা আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়। জামিন নিয়ে এসেই নেওয়াজ সমর্থকরা আমার লোকজনের উপর অর্তকিত হামলা চালায়। বিএনপি নেতাকর্মীদের হুমকি-ধমকিতে এখন গ্রামে থাকা দায় হয়ে পড়েছে।
এ ব্যাপারে কথাবলতে নেওয়াজ আলীর মোবাইলে একাধিকবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু তাহের দেওয়ান বলেন, হামলার ঘটনায় জয়নাল মিয়াকে প্রধান আসামি করে ১৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান চলছে।
বিডি প্রতিদিন/৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮/হিমেল