দিনাজপুর সদরের দক্ষিণ কোতয়ালি থেকে তিনটি বিশাল আকৃতির হিমালয়ন গ্রিফন নামে বিলুপ্ত প্রায় প্রজাতির শকুন পাখি উদ্ধার করা হয়েছে। শারীরিকভাবে অসুস্থ পাখিগুলোকে রামসাগর চিরিয়াখানার হেফাজতে নেয়া হয়েছে। তাদের চিকিৎসা-খাবার দেয়া হচ্ছে বলে জানান বন বিভাগের কর্মকর্তা ও রামসাগর চিরিয়াখানার তত্ত্বাবধায়ক মো. আব্দুস সালাম তুহিন।
সোমবার সন্ধ্যার আগে শকুন পাখি উড়তে না পাড়ায় সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের হরিহরপুর গ্রামে একটি এবং আরও দুটি রামনগর গ্রামে পড়ে যায়। উড়তে না পারলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে বনবিভাগকে জানায়। পাখিটি বিলুপ্ত প্রজাতির বলে স্থানীয়রা জানায়। খবরটি ছড়িয়ে পড়লে পাখিটিকে দেখার জন্য মঙ্গলবার মানুষের ভিড় জমে।
প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থী মো. নাঈম বাদশাসহ স্থানীয়রা জানান, গত সোমবার সন্ধ্যার আগে গছাহার গ্রামের এক বাঁশ ঝাড়ে আচড়ে পড়ে। এসময় এলাকার ছেলেরা ক্রিকেট খেলছিল। শকুনটি উড়তে পারছিল না দেখতে পেয়ে তারা উদ্ধার করে। শারীরিকভাবে পাখিটি ক্লান্ত ও অসুস্থ দেখে উদ্ধার করে বাড়িতে আনা হয়। পাখিটি বাবরের ছেলে শাহিনুর ইসলামের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। বাড়িতে একটি খাঁচায় আটকে রাখা হয়েছে। বাবরের ছেলে শাহিনুর ইসলামের তত্ত্বাবধানে বাড়িতে একটি খাঁচায় আটকে রাখে। একইভাবে রামনগর গ্রামের দুটি শকুন পাখি উদ্ধার হয়।
বন বিভাগের কর্মকর্তা ও রামসাগর চিরিয়াখানার তত্ত্বাবধায়ক মো. আব্দুস সালাম তুহিন জানান, শীতের সময় আমাদের দেশে অতিথি পাখির আগমন ঘটে। এ কারণে পাখিগুলো অন্য কোনো দেশ থেকে আসতে পারে। তাদের খাবার সংকট হয়ে দূর্বল হয়ে পড়লে আর উড়তে না পেরে অসুস্থ হয়ে পড়ে।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম