বগুড়ার ধুনট উপজেলায় মানসিক ভারসাম্যহীন জামাইয়ের বাটখারার আঘাতে শ্বশুর নসুমুদ্দিন শেখের (৭০)মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন শ্বাশুড়ি ঝামুরি বেগম ও স্ত্রী ফুরকুনি খাতুন।
আজ রবিবার সকালে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে শনিবার (৫ জানুয়ারি) রাতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নসুমুদ্দিন ধুনট উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের জোলাগাতি গ্রামের বাসিন্দা। নিহতের স্বজনরা খবর পেয়ে জামাই সাইফুল ইসলামকে (৩৮) আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
বগুড়ার ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। দায়েরকৃত মামলায় জামাই সাইফুলকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় সাত বছর আগে ধুনট উপজেলার জোলাগাতি গ্রামের নসুমুদ্দিনের মেয়ে ফুরকুনির সঙ্গে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার তেবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল মুন্সির ছেলে সাইফুলের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান জন্ম নেয়।
সাইফুল প্রায় বছর দেড়েক আগে মানসিক রোগে আক্রান্ত হন। ডাক্তার ও কবিরাজী চিকিৎসা চলছিলো তার। কিন্তু অবস্থার কোনও পরিবর্তন হচ্ছিলো না। আর মানসিক ভারসাম্যহীন সাইফুল প্রায়ই স্ত্রীকে নানাভাবে নির্যাতন করে আসছিলেন। স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেয়ে স্ত্রী ফুরকুনি বাবার বাড়িতে চলে আসেন।
পরে গত শনিবার বিকেলে সাইফুলও শ্বশুর বাড়িতে চলে আসেন। এমনকি শ্বশুর নসুমুদ্দিনের সঙ্গে এক বিছানায় ঘুমিয়ে পড়েন। ঘুমের ঘোরে সাইফুল পাঁচ কেজি ওজনের বাটখারা দিয়ে শ্বশুরের মাথায় আঘাত করেন। একইভাবে পাশের বিছানায় ঘুমিয়ে থাকা স্ত্রী ও শ্বাশুড়িকেও আঘাত করতে থাকেন।
এসময় তাদের চিৎকারে স্বজনরা ছুটে আসেন এবং জামাইকে আটক করেন। রাতেই গুরুতর আহত অবস্থায় নসুমুদ্দিনকে উদ্ধার করে শজিমেকে ভর্তি করা হয়। আজ রবিবার সকালে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার