বরিশালের আগৈলঝাড়ার ব্রিজ নির্মাণের জন্য প্রবাহমান খালে দেয়া বাঁধ অবশেষে কেটে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ কৃষকরা। কৃষি ব্লকে পানি না পাওয়ায় আজ রবিবার কৃষকরা এক জোট হয়ে উপজেলার রাজিহার খালের বাঁধ কেটে দেয়। এরপর ওই খালে পানি চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বরিশাল সড়ক ও জনপথ বিভাগের নিয়োগকৃত ঠিকাদার ব্রিজ নির্মাণের জন্য রাজিহার খালের মুখে প্রায় ২ সপ্তাহ আগে বাঁধ দেয়। বোরো আবাদ মৌসুমে খালে বাঁধ দেওয়ার কারণে রাজিহার ইউনিয়ন, বাকাল ও গৈলা ইউনিয়নের একটি অংশের কয়েক হাজার কৃষকের বোরো আবাদ পানির অভাবে ব্যাহত হচ্ছিলো। যারা জমিতে বোরো চারা রোপন করেছেন, তাদের রোপিত চারাও পানির অভাবে মরে যায়। কৃষকরা পানির জন্য উপজেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন-নিবেদন করে আসছিলেন। এরপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্ত বিপুল চন্দ্র দাস বরিশাল জেলা প্রশাসক ও সওজের নির্বাহী প্রকৌশলীর মাধ্যমে উন্নয়ন কাজের ঠিকাদারকে বারবার বাঁধ কাটার তাগিদ দেয়ার পরও তারা ওই বাঁধ অপসারণ করেনি।
এর আগে বরিশাল কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক হরিদাস শিকারী বাঁধ পরিদর্শন শেষে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর মাধ্যমে চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে বাঁধ অপসারণ করার জন্য অনুরোধ করলেও সওজ কর্তৃপক্ষ বা ঠিকাদার বাঁধ অপসারণ না করায় অবশেষে কৃষকরাই বাঁধ কেটে দেয়।
বাঁধ কাটার মধ্যেই সেখানে উপস্থিত হন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র দাস, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন ও কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা দোলন চন্দ্র রায় ও সওজ’র সেকশন অফিসার আবু হানিফ সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, সরকারের সকল উন্নয়ন জনগণের জন্য। তাই সকল উন্নয়নই দরকার। সমন্বয়ের মাধ্যমে সরকারের উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করতে হবে তাই কৃষকদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট পানি সরবরাহের পরে সওজের উন্নয়ন কাজের জন্য আবার বাঁধ দেয়ার প্রয়োজন হলে সকলের সাথে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে।
উল্লেখ্য, বরিশাল সড়ক বিভাগের আওতায় উপজেলা সদর থেকে ঘোষেরহাট পর্যন্ত সড়ক উন্নয়ন ও থানার সামনে ব্রিজ নির্মাণ কাজের গাইডওয়াল নির্মাণের লক্ষ্যে ১৫ দিন আগে ওই দুটি খালে বাঁধ দেওয়া হয়। এই বাঁধের কারনে ৩৫টি ব্লকে পানি না পাওয়ায় কয়েক হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষাবাদ বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার