পলাশ হচ্ছে বসন্তের বার্তাবাহক। তাই বসন্ত নিয়ে রচিত কবিতা আর গানে পলাশের সরব উপস্থিতি। ঋতু পরিক্রমায় বসন্ত এখনো না আসলেও নাটোরের প্রকৃতিতে বসন্তের উপস্থিতি অগাম জানান দিয়েছে শহরের পলাশ গাছগুলোর রাশি রাশি ফুলের শোভা। যা দেখলেই যে কোন প্রকৃতিপ্রেমিদের মনে হবে বসন্ত এসে গেছে।
নাটোরে এক সময় যত্রতত্র পলাশ ফুলের গাছ দেখা যেত। কালের পরিত্রুমায় এখন আর পলাশ ফুলের গাছ তেমন একটা দেখা যায়নি। তারপর ও নাটোর শহরের রাণী ভবানী রাজবাড়ী চত্বরের অফিসার্স কোয়ার্টারের সামনে শহরের সবচেয়ে প্রাচীন শতবর্ষী পলাশ ফুলের গাছ ফুলে ফুলে ছেয়ে গেছে। শতবর্ষী পলাশ ফুলের গাছটি বর্তমানে তিনতলা ভবনের ছাদের উচ্চতা ছাড়িয়ে ডালপালা মেলে আকাশ ছোঁয়ার অপেক্ষায়। গাছটিতে রাশি রাশি ফুল। ফুল ধরেছে ভূমি অফিসের পেছনের উত্তর প্রান্তের গাছটিতে। রাজবাড়ীর জলটুংগি দীঘির উত্তর প্রান্তে এখনো কোন রকম দাঁড়িয়ে আছে দুটো পলাশ ফুলের গাছ। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে গাছের মূলের মাটি সরে যাওয়ায় হেলে পড়েছে গাছ দুটো। তবুও ফুলে ফুলে ভরে গেছে। ইতিপূর্বেই অনেক পলাশ ফুলের গাছের মূলের মাটি ধসে পুকুরে বিলীন হয়ে গেছে। ঐতিহ্যবাহী রাজবাড়িতে এখন রয়েছে মাত্র তিনটি পলাশ গাছ।
রাণী ভবানী রাজবাড়ী উদ্যান ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব ও নাটোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোছা: শরীফুন্নেছা বলেন, এ আঙিনার পলাশ ফুলের তিনটি গাছ রক্ষায় দ্রুতই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
শুধু রাজবাড়ি নয়, শহরের আনসার একাডেমি, মহারাজা জগদিন্দ্র নাথ স্কুল এন্ড কলেজের সামনে টিসিসিএ চত্বরে শোভাবর্ধন করছে পলাশ ফুল।
নাটোর হর্টিকালচার সেন্টারের উপ-পরিচালক স.ম. মেফতাহুল বারি বলেন, পলাশ ফুলের চারা উৎপাদনে হর্টিকালচার সেন্টারের কোনো কার্যক্রম নেই। তবে দুর্লভ হয়ে ওঠার আগেই এ গাছের চারা উৎপাদনে নাটোর হর্টিকালচার সেন্টার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা