নোয়াখালীর ইবতেদায়ী মাদ্রাসার অর্ধশত প্রাক প্রাথমিক শিক্ষার্থী ৪০ দিন পর গণমাধ্যম ও উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সরকারি নতুন বই পেল। দেরিতে হলেও নতুন বই হাতে পেয়ে খুশি শিক্ষার্থীরা। জানা যায়, এ বিষয়ে রবিবার বাংলাদেশ প্রতিদিনে একটি সংবাদ প্রকাশিত হলে টনক নড়ে প্রশাসনের। অবশেষে বই পায় কোমলমতি শিশুরা।
সোমবার দুপুরে নোয়াখালী সদর উপজেলায় দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন বই বিতরণ করেন নোয়াখালী ইসলামী ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক রেজ্জাকুল হায়দার। এ সময় মাদ্রাসার শিক্ষক, অভিভাবক, জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীনের প্রতিনিধি আওয়ামী লীগ নেতা বেলায়েত হোসেন, আবদুল মন্নান মেম্বার, জহির মাঝি, মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সদস্য মো. রফিক উল্যাহসহ গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি, স্থানীয় এলাকাবাসীসহ ও শিক্ষকরা অভিযোগ করে বলেন, মাদ্রাসাটির বিরুদ্ধে একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে। তারা আরও জানান, ইসলামি ফাউন্ডেশর সদর উপজেলা সুপারভাইজার আজিজুল্লার দায়িত্বে অবহেলা ও ষড়যন্ত্রের কারণে বছরের ৪০ দিন পার হলেও প্রাক প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা নতুন বই পায়নি। তারা অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানান।
নোয়াখালী সদর উপজেলা চেয়ারম্যানে এ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিন জানান, একটি মাদ্রাসার প্রাক প্রাথমিক শিক্ষার্থীরা বই না পাওয়ার বিষয়টি দুঃখজনক। কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীর দার্য়িত্বে অবহেলার কারণে কোন শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হতে পারে না। অবশেষে উপজেলা চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে নতুন বই পেল শিক্ষার্থীরা, নোয়াখালী ইসলামী ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক রেজ্জাকুল হায়দার সত্যতা স্বীকার করে বলেন।অভিযুক্ত সুপার ভাইজারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে অভিযুক্ত আজিজ উল্যাহ জানান, বিষয়টি তিনি ইসলামী ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালকে অবহিত করেছেন। কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের কারণেই তিনি সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসায় বই বিতরণ বন্ধ রেখেছেন। এছাড়াও তিনি অর্থ লেনদেনের বিষয়টি অস্বীকার করেন।
জানা যায়, ইসলামি ফাউন্ডেশর এক কর্মকর্তার অনিয়ম ও দায়িত্বে অবহেলার কারণে শিক্ষার্থীরা ৪০ দিন পার হলেও নতুন বই হাতে পায়নি। এ নিয়ে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তারা মানববন্ধনসহ নানা প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে আসছিল। অবশেষে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার নজরে আনলে বই পায় শিক্ষার্থীরা।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা